সংক্ষিপ্ত
- ব্যবধান মাত্র কয়েকদিনের
- ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ বর্ধমানে
- সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন দলেরই এক কর্মী
- এবার ঘটনাস্থল, আউশগ্রাম
পত্রলেখা বসু চন্দ্র, বর্ধমান: ব্যবধান মাত্র কয়েকদিনের। শাসকদলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে বর্ধমানে ফের প্রাণ গেল এক তৃণমূল কর্মীর। দলের বুথ সভাপতি-সহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবার ঘটনাস্থল, আউশগ্রাম।
আরও পড়ুন: পারিবারিক অশান্তিতে 'খুন', বাড়ি থেকে উদ্ধার গৃহবধূ ও শিশুকন্যার রক্তাক্ত দেহ
জানা গিয়েছে, আউশগ্রামে জয় কৃষ্ণপুর গ্রামে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠী। গ্রামে দেড় কিমি রাস্তা তৈরি নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত্র। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ঠিকাদার সংস্থার লোকেরা দু'টি গোষ্ঠীর সঙ্গে দফা দফায় আলোচনা করেন। বুধবার একপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতেই গ্রামে এসেছিলেন ঠিকাদারের লোকেরা। কিন্তু আলোচনা শেষে তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। সংঘর্ষে জখম হন ৬ জন। শারীরিক অবস্থায় আশঙ্কাজনক হওয়ায় ইয়াসমিন শেখ নামে একজন পাঠিয়ে দেওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। শুক্রবার রাতে মারা যান ইয়াসমিন। তাঁর মৃত্যু খবর আসতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আউশগ্রামের জয় কৃষ্ণপুর গ্রামে। এলাকায় শুরু হয় পুলিশি টহলদারি। গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি-সহ ছয়জনকেও।
এদিকে এই ঘটনায় দলের গোষ্ঠীকোন্দলের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন আউশগ্রাম-১ নং পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূল নেতা আব্দুল হালিম মণ্ডল। যদিও উল্টো কথা বলছেন তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি হাকিম শেখ। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, রাস্তা তৈরি নিয়ে নয়, পুরানো বিবাদে জেরেই সংঘর্ষ হয়েছে। যারা মারধর করেছে, তারা বিজেপি ও সিপিএম কর্মী! এমনকী, একই কথা জানিয়েছেন মৃতের পরিবারের লোকেরাও।
আরও পড়ুন: মৌসুমী বায়ু ঢুকেছে রাজ্যে, বর্ষার মুখে ধসের আতঙ্ক ফিরল দার্জিলিং-এ
উল্লেখ্য, এর বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুর মাঠ এলাকায়। সেবার ভরসন্ধেবেলায় দলেরই এক কর্মীদের পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ। পাল্টা ভাঙচুর চলে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে, মারধরও করা হয় তাঁকে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল আউসগ্রামে।