সংক্ষিপ্ত

  • ভরসন্ধেবেলায় যুবককে 'পিটিয়ে খুন'
  • তৃণমূল নেতার বাড়িতে ভাঙচুর-মারধর
  • শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলে রণক্ষেত্র বর্ধমান
  • এলাকায় মোতায়েন পুলিশ
     

পত্রলেখা বসু চন্দ্র, বর্ধমান: করোনা সংকটের মাঝেও রাজনৈতিক হানাহানির বিরাম নেই। শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মীকে পিটিয়ে খুন! পাল্টা হামলা চলল দলেরই এক নেতার বাড়িতে, বেধড়ক মারধর করা হল তাঁকে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুর মাঠ এলাকায়।

আরও পড়ুন: দিনের পর দিন নাবালিকাকে পড়ার সময় তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, গ্রেফতার তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ তরুণ

গন্ডগোলের সূত্রপাত বুধবার রাতে। মোটরবাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন গৌতম দাস নামে বছর পঁচিশের এক যুবক। বর্ধমান শহরে জিটি রোড ও বাদশাহী রোডের মাঝে যখন পথ আটকানো হয়, তখন কয়েকজন যুবকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন গৌতমকে বেধড়ক মারধর করা হয়। অচৈতন্য অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে ওই তৃণমূল কর্মীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।  ঘটনাটি জানাজানি হতেই ব্য়াপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কারা খুন করল? স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিকাশ মণ্ডলের অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন দলের নেতা-কর্মীদের একাংশও। ব্যস আর যায় কোথায়! ক্ষোভের বশে অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হন স্থানীয় বাসিন্দারা। নির্বিচারে চলে ভাঙচুর, বেধড়ক মারধর করা হয় শাসকদলের নেতাকে। গুরুতর জখম অবস্থায় তিনি ভর্তি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। 

আরও পড়ুন: মাঝরাতে বাড়িতে চড়াও দুষ্কৃতীরা, গুলি করে-কুপিয়ে খুন প্রতিবাদীকে

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বর্ধমান থানার পুলিশ। আইসি পিন্টু সাহা, ডিএসপি (সদর) শৌভিক পাত্র-সহ পদস্থ পুলিশ কর্তাদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। কেন গৌতম খুন করা হল? তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। উত্তেজনা কমাতে এলাকার মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।