সংক্ষিপ্ত
- বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে ডান্সারের মৃত্য়ু
- মৃত্যু ঘিরে রহস্য ঘনাল বর্ধমানে
- মৃতের বাড়ি বর্ধমানের বড়নীলপুরে
- কাজের সূত্রে পাটনায় থাকত ডলি
বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে ডান্সারের মৃত্য়ু ঘিরে রহস্য ঘনাল বর্ধমানে। মৃতের নাম ডলি কর্মকার। বর্ধমানের বড়নীলপুরে তার বাড়ি। জানা গিয়েছে, কাজের সূত্রে পাটনায় থাকত ডলি। সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে।
তাপস পালের মৃত্যুর জন্য দায়ী কে, মুখ খুললেন তারকা পত্নী
ডলির দিদি মলি জানিয়েছে, দুই বোন মিলে পাটনায় থাকত তারা। পাটনায় হনুমাননগর কালীমন্দিরের কাছে ঘর নিয়ে থাকত দুজনে। ওখানে ডান্সারের কাজ করেই আয় করত দুই বোন। মলি জানিয়েছে, প্রথমে তারা শ্রীরামপুরে শপিং মলে কাজ করত। তখন শ্রীরামপুরে একসঙ্গে থাকত । এরপর তারা পাটনায় চলে যায় কাজের সূত্রে। মলি আরও জানিয়েছে, তার বোনের সাথে একটা ছেলের সম্পর্ক ছিল। তার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়। তার জন্যই তারা পাটনায় যায়।
মিথ্য়ে কেসে ফাঁসানো হচ্ছে, মোদীর সঙ্গে বৈঠকে ক্ষোভ দিলীপের
মলি ও ডলি একই বাড়িতে আলাদা রুমে থাকত। তবে দুই বোনের সম্পর্কের তিক্ততা ছিল। মলি জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কফি খাওয়ার জন্য বোনের ঘরে ডাকতে যায় মলি। তখন ঘরে বোনকে দেখতে না পেয়ে ফোন করে । বোন ফোনে জানায়, সে ছাদে আছে- কিছুক্ষণ পর যাচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পরই কয়েক জন ছেলে এসে খবর দেয়, তাদের বোন বাড়ির পাশে চাদ থেকে পড়ে গেছে। পরে সেই ছেলেগুলোই তড়িঘড়ি ডলিকে নিয়ে হাসপাতালে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
নৈহাটিতে বিজেপি কর্মীকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মার, দায় ঝেড়ে তৃণমূল বললো 'ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব'
বুধবার বর্ধমানের বাড়িতে ডলির মৃতদেহ নিয়ে আসা হয়। জানা গিয়েছে, এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকার জন্য দুই বোনের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে। আজ বর্ধমানে মৃতদেহ নিয়ে এলে খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্য়েই পাটনা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বর্ধমানের পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রেমে ব্যর্থতা জেরে মৃত্যু নাকি মৃত্যুর পেছনে অন্য কারণ তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ডলির মা জানিয়েছে, দুই বোন এক সঙ্গে থাকত। ছোট মেয়ে একটু কম কথা বলতো। প্রায় সময় ব্যস্ত থাকত। তার মেয়ে যে আত্মহত্যা করতে পারে, তা তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি। তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলেই মনে করছেন তিনি। তাদের বাবার জানিয়েছেন,মেয়েরা যে পাটনায় কাজের সূত্রে গেছে সেটা তার জানা ছিল না। তিনি জানতেন মেয়েরা শ্রীরামপুরে একটি শপিং মলে কাজ করে।