পুরসভা ভোটের প্রচার এখনও শুরু হয়নি এরই মধ্য়ে রাজ্য়ে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক সংঘর্ষ নৈহাটিতে এক বিজেপি কর্মীকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারার অভিযোগ উঠল  অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল বলল, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হয়েছেন ওই যুবক

পুরভোটের প্রচার এখনও শুরু হয়নি রাজ্য়েএরই মধ্য়ে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক সংঘর্ষমঙ্গলবার রাতেনৈহাটিতে সঞ্জয় বিশ্বাস নামে এক বিজেপি কর্মীকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারার অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধেআর স্থানীয় তৃণমূল নেতা অভিযোগ অস্বীকার করে বললেন, " এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্কই নেইদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হয়েছেন ওই যুবক"

এদিন নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে সঞ্জয় বলেন, "আমি বিজেপি করি, এই আমার অপরাধগতবছর ২৩ জুলাই কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে আমাদের পরিবারের ঝামেলা হয়আমার মা কয়েকজন বিরুদ্ধে মামলা করেনগতকাল তারই বদলা নিতে আমার ওপর হামলা করা হলহামলাকারীরা আমাকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারতে মারতে বলল, মামলা তুলে নে" হাসপাতালের বেডে শুয়েই সঞ্জয় জানান, বুধবার রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে কেউ একজন তাঁকে অনুরোধ করে বলেন, তাঁর মোবাইল থেকে ফোন করা যাচ্ছে না, তাই সঞ্জয় যদি নিজের মোবাইল থেকে তাঁর বাড়িতে একটা ফোন করেন, বড় উপকার হয়সঞ্জয় যখন মোবাইলে ফোন করতে যান ওই ব্য়ক্তির বাড়িতে, তখনই কয়েকজন এসে হামলা চালায়তাঁর ওপরবন্দুকের বাঁট দিয়ে মারা হয় তাঁর মাথায় মারধরের সঙ্গে চলে অকথ্য় ভাষায় গালিগালাজ দুষ্কৃতীরা তাঁকে মামলা তুলে নিয়ে নেওয়ার হুমকি দেয়

বুধবার তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনি পাত্র পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "স্রেফ বিজেপি করার অপরাধে সঞ্জয়কে এভাবে মারা হল আমরা প্রশাসনের কাছে যাব তবে পুলিশ তো এখন তৃণমূলের দালাল" অন্য়দিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা সনত দে বলেন, "ওই বিজেপি কর্মীকে বন্দুকের বাঁট দিয়েই মারা হয়েছে, ঠিকইকিন্তু এই ঘটনার জন্য় তৃণমূল মোটেও দায়ী নয় দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির মধ্য়ে সনতের সঙ্গে তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব চলছিলবুধবার রাতে ওঁর বিরোধী গোষ্ঠীর লোকই ওঁকে মারে এলাকার লোকজনও দেখেছে কারা মেরেছে সঞ্জয়কে"