সংক্ষিপ্ত
- পরকীয়া সম্পর্কের নির্মম পরিণতি
- প্রেমিককে সঙ্গে স্বামীকে 'খুন' স্ত্রী-এর
- মারধরের পর মুখে 'ঢালা হল বিষ'
- নৃশংসতার সাক্ষী বর্ধমানের আউশগ্রাম
পত্রলেখা বসু চন্দ্র, বর্ধমান: পরকীয়া সম্পর্কের জেরে নৃশংস হত্য়াকাণ্ড। স্বামীকে বাপের বাড়িতে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর, তারপর মুখে বিষ ঢেলে 'খুন' করল স্ত্রী ও তার প্রেমিক! প্রেমিক আবার সম্পর্কে মৃতের ভাগ্নে। দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থল, পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম।
আরও পড়ুন: গৃহস্থের বাড়িতে ঢুকে চুরির অভিযোগ, বেধড়ক গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা
মৃতের নাম শাহাজাহান শেখ। বাড়ি, আউশগ্রামের উক্তা এলাকায়। বছর আটেক আগে বিয়ে করেছিলেন তিনি। স্ত্রী ফারহানা পাশের জেলা বীরভূমের ঘিদহ গ্রামের মেয়ে। ওই দম্পতির মেয়ের বয়স সাতবছর। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিয়ের পর শাহাজাহানের ভাগ্নের সঙ্গে বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ফারহানা। ঘটনাটি জানাজানি হতে যথারীতি পরিবারে অশান্তি শুরু হয়। অশান্তি এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, আড়াই মাস আগে মেয়েকে সঙ্গে বাপের বাড়ি চলে যায় ফারহানা।
পরিবারের লোকেদের দাবি, ১৫ সেপ্টেম্বর মেয়ে অসুস্থতা খবর জানিয়ে শাহাজাহানকে বোলপুরের শেয়ান হাসপাতালে আসতে বলে ফারহানা। এরপর স্বামী যখন হাসপাতালে পৌঁছন, তখন একটি গাড়িতে করে তাঁকে বাপের বাড়িতে তুলে যায় ওই গৃহবধূ। শ্বশুরবাড়িতে শাহাজাহানকে বেধড়ক মারধর করে স্ত্রী ও তার প্রেমিক। মারের চোটে পাজরের হাড় ভেঙে যায় আক্রান্তের। শেষপর্যন্ত মুখে বিষ ঢেলে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর? জানা গিয়েছে, ফারজানা ও তার প্রেমিকই শাহাজাহানকে ভর্তি করে বোলপুরের শেয়ান হাসপাতালে। রটিয়ে দেওয়া হয় যে, তিনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন! শেষপর্যন্ত পরিবারর লোকেরা তাঁকে স্থানান্তরিত করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
আরও পড়ুন: প্রসূতির চিকিৎসায় 'গাফিলতি', গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যুতে ধুন্ধুমারকাণ্ড কালনায়
রবিবার রাতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে মারা যান শাহাজাহান শেখ। তবে হাসপাতালে মৃত্যকালীন জবানবন্দি দিয়ে গিয়েছেন তিনি। অন্তত তেমনই দাবি পরিবারের লোকেদের। তাহলে অভিযুক্ত স্ত্রী ফারজানা ও তার প্রেমিককে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? বোলপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবারের লোকেরা।