সংক্ষিপ্ত
- স্বামীর হাতে নৃশংসভাবে 'খুন' গৃহবধূ
- শ্বশুরবাড়িতে মিলল রক্তাক্ত দেহ
- থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের
- অভিযুক্তরা পলাতক
দাম্পত্য জীবনে সুখ ছিল না। শেষপর্যন্ত স্বামীর হাতেই নৃশংসভাবে খুন হয়ে গেলেন এক গৃহবধূ! ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে। স্বামী-সহ মৃতার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পলাতক।\
আরও পড়ুন: মহিলার ছবি দিয়ে ফেক অ্যাকাউন্ট, 'নোংরা স্ট্যাটাস' দেওয়ায় গ্রেফতার যুবক
মৃতের নাম রেজিনা বেগম। তাঁর বাপের বাড়ি ভাতারের কালিটিকুড়ি গ্রামে। বছর দশেক আগে মঙ্গলকোটের মাহাতুবাপুর গ্রামে বাসিন্দা শাহ মিরাজ হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় রেজিনার। ওই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে একেবারেই বনিবনা ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিয়ের পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই রেজিনা ও মিরাজের মধ্যে অশান্তি হয়। উত্তরোত্তর তা বাড়তে থাকে। সোমবার সকালে শ্বশুরবাড়িতে ওই গৃহবধূকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এক প্রতিবেশী। তখন স্বামী বা পরিবারের আর কেউ ছিলেন না। অন্তত তেমনই দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর দেওয়া হয় মঙ্গলকোট থানায়। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: গ্রামের পাশে পার্কে ঝুলে বিশাল অজগর, আতঙ্কে হুলুস্থুল এলাকা
কেন এমনটা ঘটনা ঘটল? মৃতার বাপের বাড়ির লোকেদের দাবি, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য় রেজিনার উপর অত্যাচার করতেন স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। স্বামীর সঙ্গে অশান্তি হত তাঁর। তাহলে পণের জন্য খুন হয়ে গেলেন ওই গৃহবধূ? অভিযোগ তেমনই। স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মঙ্গলকোট থানায়। অভিযুক্তরা অধরা।