অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছিলেন যে গত ১০ বছরে, আয়কর জমা দেওয়ার লোকের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা সরকারের জন্য ভালো ব্যাপার। অর্থমন্ত্রী সীতারামন কর প্রদানকারী লোকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন যে সরকার করের হার কমিয়েছে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আজ (১ ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট ২০২৪ পেশ করবেন। প্রতি বছর, কেন্দ্রীয় সরকার বাজেট নথি উপস্থাপনের একদিন আগে অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করে। তবে এবার এই অর্থনৈতিক সমীক্ষা উপস্থাপন করা হচ্ছে না।
বুধবার থেকে সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে চলা লোকসভা নির্বাচনের আগে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ১ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেন। এই বাজেট মোদী সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট। এবার সংসদে ষষ্ঠ বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী। মোরারজি দেশাইয়ের পর সীতারামন হলেন দ্বিতীয় অর্থমন্ত্রী, যিনি ছয়বার বাজেট পেশ করার সুযোগ পেয়েছেন। আয়কর কাঠামো অপরিবর্তিত রাখার কথা ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর।
কেন্দ্রীয় সরকার রেলকে ৩.২০ লক্ষ কোটি টাকার বাজেট দিতে পারে। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৩০ শতাংশের বেশি হবে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন গত বছর রেলকে ২.৪০ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। এটি ২০১৩-১৪ সালের তুলনায় প্রায় ৯ গুণ বেশি।
এবারের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করে নির্মলা সীতারামন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের রেকর্ডের সমান হবেন। সীতারামন হলেন প্রথম পূর্ণকালীন মহিলা অর্থমন্ত্রী, জুলাই ২০১৯ থেকে পাঁচটি পূর্ণ বাজেট পেশ করেছেন।
তিনি বলেন, এর আগেও সরকারের বাড়ি, রাস্তা ইত্যাদি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু তাদের দ্রুত কাজ করার মানসিকতা ছিল না। স্বাধীনতার ৫০ বা ৬০ বছর পরেও প্রায় ৫০ শতাংশ জনসংখ্যা মৌলিক জিনিস থেকে বঞ্চিত ছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে বড় কোনো ঘোষণা করবে না, যদিও অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রতিটি খাতের প্রত্যাশা রয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় করদাতা হচ্ছে বেতন শ্রেণী এবং তাদেরও এই বাজেট থেকে অনেক প্রত্যাশা রয়েছে।
শুক্রবার মন্ত্রিসভা কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতার অতিরিক্ত কিস্তি এবং পেনশনভোগীদের জন্য পয়লা জানুয়ারী, ২০২৩ থেকে মহার্ঘভাতার মুক্তির অনুমোদন দিয়েছে।
নতুন কর ব্যবস্থা নিয়ে আশাবাদী নির্মলা সীতারমণ। এদিন তিনি বলেন নতুন কর ব্যবস্থায় মধ্যবিত্তিরা উপকৃত হবেন।
সংসদের কাজ বন্ধ থাকায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট নিয়ে এখনও সংসদে এখনও পর্যন্ত কোনও আলোচনা হয়নি। তবে সেবিষয় বিশেষ ভাবিত নয় প্রধানমন্ত্রী। বরং সাধারণ মানুষের কাছে বাজেটকে পৌঁছে দেওয়াই এখন মোদীর মূল উদ্দেশ্য।