সংক্ষিপ্ত
- বাম দূর্গে ফাটল ধরিয়েছিলেন রাজীব
- প্রথমবার হেরে ছিলেন
- তারপর তিনবার জয়ী হয়েছিলেন
- শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থীকেও জিততে সাহায্য করেছিলেন
২০১১ সালে বাম দুর্গে ফাটল ধরিয়ে ঘাসফুল ফুটিয়েছিলে তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার বিধানসভা ভোটের এটাই এখন লক্ষ টাকার প্রশ্ন এবার কী ডোমজুড়ে পদ্ম ফোটাতে পারবেন রাজীব? সদ্যোই দল বদল করে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে তিনি এখন বিজেপির সদস্য। তবে এখনও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর বাজি রাখতে রাজি বিজেপি। কারণ ডোমজুড়ের ভূমিপুত্র তিনি। ২০০৬ সালে তৃণমলের টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সময় বাম প্রার্থীর কাছে হেরে যান রাজীব। তবে লড়াই থেকে সরে আসেননি।
টুলকিট মামলায় অবশেষে জামিন, ১ লক্ষ টাকার বিনিময় মুক্তি পেলেন দিশা রবি ...
২০১১ সালে দীর্ঘ দিনের বাম দূর্গে ফাটল ধরিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০৫১ সাল থেকেই ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রে নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখেছিল সিপিএম। ১৯৬৭ আর ১৯৭২ সালে এই কেন্দ্রটি হাতছাড়া হয় বামেদের। দুবারই কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী হয়েছিল। কিন্তু কোনও বারই দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরতে পারেনি কংগ্রেস।এই কেন্দ্রে বাম প্রার্থী ছাড়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ই একমাত্র প্রার্থী যে দ্বিতীয়বার জয়ী হয়েছিল। ২০১৬ সালের নির্বাচনে জয়ের ব্যবধান ছিল ১ লক্ষেরও বেশি। প্রথমবার তিনি বাম প্রার্থী মহন্ত চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়েছিল ২৪ হাজারেরও বেশি ভোটে। আর ২০০৬ সালে এই কেন্দ্র থেকে রাজীব পরাজিত হয়েছিলেন প্রায় ৩০ হাজার ভোটে।
হাওড়া জেলার অন্তর্গত ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্র। বাঁকড়া ১, ২, ৩, মাকড়দা ২, নাড়না, শলপ ১ ও ২, গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্র। বালি ও জগাছা ব্লকঅন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই কেন্দ্রে। ডোমজুড়ের কিছুটা অংশ হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। কিছুটা অংশ রয়েছে শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে ভালো শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোল লিড দিয়েছিল ডোমজুড়। এখন প্রশ্ন দলবদলের পরেও কী রাজীব ডোমজুড় কেন্দ্রে নিজের ক্যারিশ্মা দেখাতে পারবেন।