সংক্ষিপ্ত
- পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে মেদিনীপুর বিধানসভা
- ২০১১, ২০১৪, ১৬-র ভোটে তৃণমূল এগিয়ে ছিল এখানে
- ২০১৯ সালে এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লিড পেয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী দিলাপ ঘোষ
- এবার তৃণমূলের তারকা প্রার্থী জুন মাল্য, সিপিআইয়ের হয়ে দাঁড়াচ্ছেন তরুণকুমার ঘোষ, বিজেপির হয়ে শমিত দাশ
শমিকা মাইতি, প্রতিনিধি, মেদিনীপুর পুরসভা ছাড়াও মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদরা, ধেড়ুয়া, মনিদহ, তাঁতিগেড়িয়া পঞ্চায়েত এবং শালবনি ব্লকের বাঁকিবাঁধ, গড়মাল, কর্ণগড়, কাশীজোড়া, শতপতি পঞ্চায়েত এলাকা নিয়ে এই বিধানসভা কেন্দ্র গঠিত। এই এলাকায় বহু দিন ধরে রাজ করেছে সিপিআই। স্বাধীনতার পর ১০ বার এই আসন থেকে জিতেছেন সিপিআই প্রার্থী। কিন্তু শেষ দু’বার অর্থাৎ ২০১১ ও ১৬ সালে এই কেন্দ্র থেকে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী মৃগেন্দ্রনাথ মাইতি। তৃণমূল অবশ্য এবার এই আসনে তারকা প্রার্থী দিয়েছে। তৃণমূলের হয়ে জোরকদমে ভোটের প্রচারে নেমে পড়েছেন অভিনেত্রী জুন মাল্য। বিরোধীরা তাঁর গায়ে বহিরাগত তকমা সাঁটাতে চাইলেও জুন মিষ্টি হেসে জানাচ্ছেন, তিনি মহিষাদল রাজবাড়ির মেয়ে। মেদিনীপুরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বহু দিনের।
মেদিনীপুর বিধানসভা আসনে কে-কত বার জয়ী
স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৬ পর্যন্ত হিসাব ধরলে এই আসনে কংগ্রেস জিতেছে ২ বার, সিপিআই জিতেছে ১০ বার, জনতা পার্টি এক বার ও তৃণমূল শেষ ২ বার। ১৯৫৭ সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচনে এই আসন থেকে জেতেন কংগ্রেস প্রার্থী অঞ্জলি খান। ১৯৬২ সালে জেতেন কংগ্রেসের সৈয়দ শামসুল বারি। ১৯৬৭ ও ৬৯ সালে এই আসনে জেতেন সিপিআইয়ের কামাখ্যাচরণ ঘোষ। সিপিআই প্রার্থী বিশ্বনাথ মুখার্জ্জী ১৯৭১ ও ৭২ সালের ভোটে জেতেন এই আসনে। ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টির তরফে বঙ্কিমবিহারী পাল কামাখ্যাবাবুকে হারিয়ে দেন। এর পরের তিন বার এই আসন থেকে ফের জিতে বিধায়ক হন কামাখ্যাবাবু। ১৯৮২ সালের ভোটে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আইসিএস-এর সমীর রায়। ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের হয়ে লড়ে সমীরবাবু হেরে যান ফের। ১৯৯১ সালে কামাখ্যাবাবুর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কংগ্রেসের দীনেন রায়। ২০০১ সালে এই আসনে সিপিআইয়ের হয়ে লড়েন পূর্ণেন্দু সেনগুপ্ত। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের গৌরি ঘোষকে হারিয়ে দেন। ২০০৬ সালে সিপিআই প্রার্থী সন্তোষ রানা এই আসন থেকে জিতে বিধায়ক হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রমাপ্রসাদ তিওয়ারি।। ২০১১ সালে আবার সন্তোষবাবুকে হারিয়ে এই আসনে জেতেন তৃণমূল প্রার্থী মৃগেন্দ্রনাথ মাইতি। সেবার তৃণমূল ভোট পেয়েছিল ১০৩০৬০টি। সন্তোষবাবু পেয়েছিলেন ৭৪৮৪০টি ভোট। ৪৮৮০টি ভোট পেয়ে বিজেপি-র তুষার মুখার্জ্জী ৩ নম্বর স্থানে ছিলেন। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটেও এই তিনজন ছিলেন পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। সেবার মৃগেন্দ্রনাথবাবু পান ১০৬,৭৭৪টি ভোট, সন্তোষবাবু পান ৭৩,৭৮৭টি ভোট। বিজেপি-র ভোট তুলনায় বাড়ে। তুষারবাবু ২২৫৬৭টি ভোট পান।
আদিবাসী ভোট ঠিক করবে বিনপুরে তৃণমূলের ভাগ্য, বিজেপিও পিছিয়ে নেই ...
'প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারকে আগে সম্মান করতাম কিন্তু...', বিষ্ণুপুরের সভা থেকে মোদীকে তোপ মমতার ...
২০১৯-এর লোকসভা ভোটের নিরিখে এই বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২৬৬৭২৩। ভোট পড়েছিল ২২২৬৬১। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ১১০৩৭২টি ভোট পেয়েছিলেন। তৃণমূল প্রার্থী মানস ভুঁইয়া পেয়েছিলেন ৯৩৭৩১টি ভোট। সিপিআই প্রার্থী বিপ্লব ভট্ট পেয়েছিলেন ৯৯৮৭টি ভোট।