মুম্বইয়ের ধারাভি বস্তিতে নতুন করে সংক্রমণের খবর শুক্রবার ৫ জনের শরীরে মিলল ভাইরাস এদের মধ্যে নিজামুদ্দিন মারকাজে গিয়েছিলেন ২ জন  ফলে এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ২২

প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণের খবর মিলছে মহারাষ্ট্রের নানা প্রান্ত থেকে। ব্যতিক্রম হল না শুক্রবারও। এদিন সকালে রাজ্যের আরও ১৬ জনের শরীরে মিলল মারণ ভাইরাস ফলে বর্তমানে মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৮০। এদিকে বৃহস্পতিবার রাজ্যে নতুন করে ২২৯ জনের করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছিল। এদের মধ্যে সিংহভাগই মুম্বই মেট্রোপলিটন অঞ্চলের মুম্বই , থানে এবং নবি মুম্বইয়ের। তবে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশেনর সবচেয়ে চিন্তা বাড়াচ্ছে ধারাভি।

Scroll to load tweet…

শুক্রবার নতুন করে ধারাভি এলাকায় ৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। এদের মধ্যে নিজামুদ্দিন মারকাজে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফেরা ২ জন রয়েছেন। ফলে এশিয়ার বৃহত্তম বস্তিতে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২২। এর আগেই অবশ্য সেখানে করোনা সংক্রমণে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এই অবস্থায় ধারাভির দিকে এখন কড়া নজর রাখছে প্রশাসন।

Scroll to load tweet…

মুম্বই তথা এশিয়ার সবচেয়ে বড়ো বস্তি অঞ্চল হিসাবে পরিচিত এই ধারাভি। প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষের বাস এই অঞ্চলে। যাদের অধিকাংশই অভিবাসী শ্রমিক। ঘুপচি এই বস্তিতে ব্যক্তিগত পরিসরের তেমন কোনও বালাই নেই। তাই সামাজিক জূরত্ব বজায় রাখা এখানে অসম্ভব। তাই গোষ্ঠী সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে ধারাভি এলাকায়। তাই আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে ধারাভির ৭ লক্ষ বাসিন্দার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশেন।


লকডাউন ভেঙে রোড ট্রিপে ধনকুবের, ছুটিতে পাঠান হল মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দফতরের আমলাকে
ভারত থেকে ৫ টন ওষুধ গেল ইজরায়েলে, ট্রাম্পের পর মোদী বন্দনাতে মশগুল নেতানিয়াহুও
৭৬ দিনের লকডাউন উঠতেই উহানে বিয়ের ধুম, আবেদন জমা পড়ল ৩০০ গুণ বেশি

জানা যাচ্ছে ১৫০ জন চিকিৎসকের সহয়াতায় করা হবে এই করোনা পরীক্ষা। যাঁদের সাহায্যের জন্য থাকবেন ২৭৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও মুম্বই সিভিক বডির ২০০ জেনর বেশি কর্মী। চিকিৎসকরা ৬টি দলে ভাগ হয়ে ধারাভির বাড়িতে বাড়িতে যাবেন করোনা পরীক্ষা করার জন্য।

পাঁচ বর্গকিলোমিটার এলকা জুড়ে বিস্তৃত এই ধারাভি বস্তিতে প্রায় ৭০ লক্ষ বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৩ হাজারের সামান্য বেশি পরিবারকে এখনও পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে পাঠান হয়েছে। তবে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ও লকডাউন একশো শতাংশ করতে পুরো বস্তিটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। তবে সবচেয়ে চিন্তার বিষয় এখানকার ১০০ থেকে ২০০ জন মানুষের জন্য শৌচাগার রয়েছে মাত্র ১টি। সেখান থেকেই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। যদিও দমকল শৌচাগার গুলি স্যানিটারাইজ করার কাজ ইতিমধ্যে শুরু করেছে।