সংক্ষিপ্ত

একলাই পথ চলছে গান্ধি সেজে
বিলি করছেন মাস্ক আর স্যানিটাইজার
ভূবনেশ্বরের বস্তি এলাকায় ঘুরছেন তিনি
মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে ওড়িশা সরকার 
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গোটা দেশই ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই চালাচ্ছে। যে যেভাবে পারছে মোকাবিলা করছে চরম ছোঁয়াচে এই ভাইরাসের। কেই নিজেকে আর নিজের পরিবারকে বন্ধ করে রেখেছে ঘরে। কেউ আবার আর্থিক সাহায্য প্রদান করে সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে। কেউ আবার খাবার সরবরাহের মধ্যে দিয়েই করোনাযুদ্ধে সামিল হয়েছেন। ওড়িশায় দেখা গেল অন্যছবি। 

মহাত্মা গান্ধি সেজেই এক ব্যক্তি পথে নেমেছেন। সাদা ধুতি, মাথা কামানো। আর হাতে রয়েছে লাঠি। দূর থেকে দেখলে গান্ধিজি বললে খুব একটা ভুল হবে না। দুপুর রোদে এভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভূবনেশ্বরের এমস হাসপাতাল লাগোয়া এলাকায়। যার অধিকাংশ বস্তি এলাকা।  সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লাঠি হাতে একাই বেরিয়ে পড়েছেন করোনাভাইরাস মোকাবিলায়। এখানেই থামলে চলবে না। গান্ধির সাজে সেই ব্যক্তি স্থানীয় মানুষদের মধ্যে বিলি করে চলেছেন মাস্ক আর স্যানিটাইজার। না এর জন্য কোনও পয়সা অবশ্য তিনি নিচ্ছেন না। রোগমুক্তির লক্ষ্যে এভাবেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। 

আরও পড়ুনঃ লকডাউনের মধ্যেই এইচডিএফসির শেয়ার অধিগ্রহণ চিনের ব্যাঙ্কের, দেশের কর্পোরেট সংস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ
আরও পড়ুনঃ এক মাসের সন্তান কোলে অফিসে মা, মাতৃত্বের সঙ্গে কর্তৃব্যের অপূর্ব মেলবন্ধন.
আরও পড়ুনঃ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, কী করে সেখানে উল্টো ছবি দেখাচ্ছে কেরল


অনেক আগেই ফেস মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতা মূলক করেছিল ওড়িশা সরকার। নিময়ভঙ্গকারীদের আর্থিক জরিমানা করার কথাও ঘোষণা করেছে বিজু পট্টনায়ক সরকার। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে রীতিমত সদর্থক পদক্ষেপ নিয়েছে ওড়িশা সরকার। বাড়িয়ে দিয়েছে লকডাউনের মেয়াদ। ওড়িশায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে এক জনের।