সংক্ষিপ্ত

ভারত বায়োটেকের কাছে অতিরিক্ত কোভ্যাক্সিন চেয়েছিল দিল্লি

না পেয়ে সংস্থার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিল দিল্লি সরকার

তাতে হতাশা প্রকাশ করলেন সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা

কী বললেন তিনি

বুধবার সকালেই ভারত বায়োটেকের বিরুদ্ধে চাহিদা অনুযায়ী কোভ্যাক্সিন না পাঠানোর অভিযোগ করেছিলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। তারপরই, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরণের মন্তব্যের কারণে হতাশা ব্যক্ত করলেন ভারত বায়োটেক সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা যুগ্ম ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুচিত্রা এলা।

শুধু হতাশা প্রকাশ করা নয়, সুচিত্রা ১৮টি রাজ্যের নাম প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছেন, ১০ মে তারিখেই তাঁরা ছোট ছোট চালানের আকারে প্রত্য়েকটি রাজ্যেই কোভ্যাক্সিন পাঠানো হয়েছে। এরপরও বেশ কয়েকটি রাজ্য সংস্থার উদ্দেশ্য নিয়ে অভিযোগ তুলছে। তা অত্যন্ত 'হতাশাব্যঞ্জক' বলে বর্ণনা করেন তিনি। সুচিত্রা আরও জানিয়েছেন,ভ্যাকসিনের কারিগরদের অনেকেই কোভিডের কবলে পড়েছেন। করোনা সংক্রমণের কারণে ভারত বায়োটেক-এর ৫০ জন কর্মচারী এই মুহূর্তে কাজ করতে পারছেন না। তারপরেও তাঁরা মহামারিজনিত লকডাউনের মধ্যে দিবারাত্র কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন - মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত ২০০০, মৃত্যুর খবর অন্যান্য রাজ্য থেকেও - বিপদ বাড়ছে কালো ছত্রাকের

আরও পড়ুন - ১ মাসে ১০ হাজার থেকে ৩.২৫ লক্ষ শিশি, কোন জাদুতে 'রেমডেসিভির সংকট' কাটালো ভারত

আরও পড়ুন - কেন্দ্রের নির্দেশে কোভ্যাক্সিন দিচ্ছে না ভারত বায়োটেক, বিস্ফোরক অভিযোগ দিল্লির

বস্তুত এদিন, দিল্লি সরকারকে পাঠানো ভারত বায়োটেকের একটি চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। সেই চিঠিতে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, কোভ্যাক্সিন টিকার সরবরাহ সীমিত, আর এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনাও রয়েছে। তাই দিল্লিকে অতিরিক্ত ভ্যাকসিন সরবরাহ করা সম্ভব নয়। প্রসঙ্গত, দিল্লি, মোট ১.৩৪ কোটি কোভিড ভ্যাকসিনের ডোজ সংগ্রহ করতে চেয়েছিল। এর জন্য কোভ্যাক্সিন চাওয়া হয়েছিল ৬৭ লক্ষ ডোজ। এই অবস্থায় দিল্লি সরকার ১৭টি স্কুলে স্থাপিত ১০০ টি কোভাক্সিন-টিকাদান কেন্দ্র বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

YouTube video player