সংক্ষিপ্ত

৭৫ কোটি কোভিড ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়ার মাইলফলক পার করল ভারত, জানালেন মনসুখ মান্ডব্য। এই হারে টিকাকরণ চললে করোনার তৃতীয় তরঙ্গকে কি ঠেকাতে পারবে ভারত?

৭৫ কোটি কোভিড ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়ার মাইলফলক পার করল ভারত। সোমবার টুইট করে এই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য জানিয়েছেন, সোমবারের মধ্যে ভারত ৭৫ কোটিরও বেশি করোনা টিকার ডোজ দিয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশব্যাপী টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়েছিল। টিকাকরণের এই সাফল্যকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপনের সঙ্গেও জুড়ে দিয়েছেন। কিন্তু, ৭৫ কোটির এই সাফল্যের দিনও, যে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে, এই হারে টিকাকরণ চললে তৃতীয় তরঙ্গকে কি ঠেকাতে পারবে ভারত?

এদিন হিন্দিতে করা এক টুইটে মনসুখ মান্ডব্য বলেন, 'অভিনন্দন ভারত! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ' মন্ত্রের সাহায্যে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকাকরণ অভিযান একের পর এক নতুন মাত্রা তৈরি করছে। আজাদিকা অমৃত মহোৎসব, স্বাধীনতার ৭৫তম বছরে দেশ ৭৫ কোটি টিকা ডোজ টিকাকরণের মাইলফল পার করল'।

"

তবে, ৭৫ কোটি টিকাকরমের মাইলফলক স্পর্শ করলেও, ভারতে যে হারে টিকাকরণ চলছে, তা কি কোভিড মহামারীর তরঙ্গকে থামানোর জন্য যথেষ্ট? ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃতীয় তরঙ্গের উত্থান রোধ করতে গেলে ভারতকে চলতি বছরের শেষের মধ্যে অন্তত ৬০ শতাংশ জনসংখ্যাকে টিকার সম্পূর্ণ ডোজ দিতে হবে। কিন্তু অঙ্কের হিসাব বলছে, এখনও পর্যন্ত ভারতে যে হারে টিকা দেওয়া হচ্ছে, তাতে করে ডিসেম্বরের শেষে ৪৩ শতাংশ জনসংখ্যা টিকায়িত হতে পারে। 

এনডিটিভি পোর্টালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরের শেষে জনসংখ্যার ৬০ শতাংশকে সম্পূর্ণ টিকার ডোজ দিতে গেলে প্রতিদিন ১ কোটি ২০ লক্ষ ডোজ করে টিকাদানের প্রয়োজন। কিন্তু, গত একসপ্তাহে ভারত গড়ে দিন প্রতি ৭৭ লক্ষের বেশি টিকা দিতে পারেনি। অর্থাৎ, প্রতিদিন ৪৩ লক্ষ ডোজ করে ঘাটতি থেকেছে। 

আরও পড়ুন - ৯ বছর করে আয়ু কমে গেল ভারতীয়দের - এভাবে চললে বিপর্যয়ের গ্রাসে তলিয়ে যাবে দেশ, দেখুন

আরও পড়ুন - দেশের বৃহত্তম 'লাইটনিং হটস্পট'-এ কলকাতা - গরম যত বাড়বে, ততই বাড়বে বজ্রাঘাতের ক্ষয়ক্ষতি

আরও পড়ুন - ঝিলাম নদীর বুকে শুয়ে ছিলেন দেবী দুর্গা, কাশ্মীরে মিলল ১২০০ বছরের পুরোনো সিংহবাহিনী মূর্তি

তবে, ভারত সরকারের লক্ষ্য আরও বড়। ডিসেম্বরের মধ্যেই ২০০ কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখেছে মোদী সরকার। বর্তমানে, ভারতে করোনার মোট ছয়টি টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে - কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন, স্পুটনিক ভি, মডার্নার ভ্যাকসিন, জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজের ভ্যাকসিন  এবং জাইডাস ক্যাডিলা'র তিন ডোজের করোনা টিকা জাইকোভ-ডি। আগামী দিনে নিশ্চিতভাবেই আরও কয়েকটি করোনা টিকা ভারতে অনুমোদন পাবে। কাজেই করোনা টিকার ডোজের প্রাপ্তিও অনেকটাই বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
 

YouTube video player