সংক্ষিপ্ত

শুরু হল কোউইন গ্লোবাল কনক্লেভ

সেখানেই প্রধানমন্ত্রী মোদী করলেন বিরাট ঘোষণা

কোউইন অ্যাপ হচ্ছে ওপেন সোর্স

ভারতের এই অ্যাপ সংগ্রহ করতে চাইছে বিশ্বের ৫০টি দেশ

'বসুধৈব কুটুম্বকম' অর্থাৎ পুরো বিশ্বই একটি পরিবার - কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে অনেকেই এই ভারতীয় দর্শনের মৌলিক সত্য উপলব্ধি করেছে। আর সেই দর্শন মেনেই কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার জন্য ভারতের প্রযুক্তিগত প্ল্যাটফর্ম, 'কোউইন' (CoWIN)-কে ওপেন সোর্স (open source) সংস্করণ প্রস্তুত করা হচ্ছে। সোমবার কোউইন গ্লোবাল কনক্লেভ (CoWIN Global Conclave)-এ বক্তৃতা দিতে গিয়ে এই বিরাট ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোউইন ওপেন সোর্স-টি তৈরি হয়ে গেলে যে কোনও দেশই এই অ্যাপকে তাদের টিকাকরণের জন্য নাম নথিভুক্ত করার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে।

এদিন প্রধানমন্ত্রী ফের করোনা রুখতে পারস্পরিক সহযোগিতার উপর জোর দেন। তিনি বলেন, গত ১০০ বছরে করোনা মহামারির মতো কোনও মহামারি দেখা যায়নি। অভিজ্ঞতা বলছে, কোনও দেশ যতই শক্তিশালী হোক না কেন, বিচ্ছিন্নভাবে এই জাতীয় কোনও চ্যালেঞ্জের সমাধান করতে পারে না। তিনি আরও জানান, কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ের অবিচ্ছেদ্য, অঙ্গ হল প্রযুক্তি। এর আগে আরোগ্য সেতু অ্যাপকেও ওপেন সোর্স হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল। সেই অ্যাপটি ২০ কোটি মানুষ ব্যবহার করেন।

সোমবার গ্লোবাল কো-উইন কনক্লেভ-এর উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তার হর্ষ বর্ধন। এর আগেই জানা গিয়েছিল, বিশ্বের বহু দেশই তাদের টিকাকরণ পরিচালনের জন্য় কোউইন অ্যাপ সম্পর্কে আগ্রহ দেখিয়েছেন। জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই কলক্লেভ-এর উদ্দেশ্য হল, কোভিড-১৯'এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে সর্বজনীন টিকাকরণ পরিচালনার বিষয়ে ভারতের অভিজ্ঞতা, বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া। কো-উইনের মাধ্যমে কোভিড-১৯'এর বিরুদ্ধে জয়লাভের জন্য বিশ্বের সঙ্গে হাতত মেলাতে পেরে ভারত দারুণ খুশি।

গত রবিবার, ৪ জুলাই, জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা (CEO) ডাক্তার আরএস শর্মা, জানিয়েছিলেন, মেক্সিকো, কানাডা, উগান্ডা, নাইজেরিয়ার মতো বিশ্বের পঞ্চাশটি দেশ কোউইন অ্যাপ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিষয়টি জানতে পেরে আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সরকারি আধিকারিকদের ভারতের এই ভ্যাকসিন নিবন্ধকরণ প্ল্যাটফর্মের একটি ওপেন-সোর্স সংস্করণ তৈরি করার নির্দেশনা দিয়েছেন, যাতে যে কোনও দেশের সঙ্গে এই প্রযুক্তি বিনামূল্যে ভাগ করে নেওয়া যায়।