সংক্ষিপ্ত

সতর্কবার্তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথনের। তিনি আরও জানান, প্রথম সংক্রমণের ৯০ দিন পরে ডেল্টা ভেরিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রন ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তিনগুণ বেশি।

করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনে (Omicron) বেশি আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা। এমনই সতর্কবার্তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organization) প্রধান বিজ্ঞানী (Chief Scientist) সৌম্যা স্বামীনাথনের (Soumya Swaminathan)। তিনি আরও জানান, প্রথম সংক্রমণের ৯০ দিন পরে ডেল্টা ভেরিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রন ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তিনগুণ বেশি।  

স্বামীনাথন এদিন জানান, ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রভাবশালী স্ট্রেন, এবং এই ভেরিয়েন্টেরর সংক্রমণযোগ্যতা সম্পর্কে যথেষ্ট ডেটা পেতে সময় লাগবে। তিনি আরও বলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে যে সে দেশে আরও বেশি শিশু এই স্ট্রেনে আক্রান্ত হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকা করোনা পরীক্ষার হার বাড়িয়েছে। ফলে আরও বেশি সংখ্যায় আক্রান্তের খোঁজ মিলছে।

তিনি উল্লেখ করেন যে অনেকগুলি কোভিড -১৯ টিকা শিশুদের জন্য তৈরি হয়নি বা পাওয়া যাচ্ছে না। শুধুমাত্র কয়েকটি দেশ শিশুদের টিকা দিচ্ছে। শিশুদের জন্য ভ্যাকসিনের অনুপস্থিতি কোভিড - ১৯ সংক্রমণের বৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে এদিন সতর্ক করেন তিনি। 

হু-র প্রধান বিজ্ঞানীর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, শিশুদের জন্য অনেক টিকা পাওয়া যায় না এবং খুব কম দেশেই শিশুদের টিকা দেওয়া হয়। শিশু এবং টিকা না পাওয়া ব্যক্তিরা বেশি সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারে। ফলে আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও শিশুদের উপর ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব সম্পর্কে তথ্যের অনুসন্ধান করছে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ আরও জানিয়ে ছিলেন, ভাইরাসটির নতুন নতুন রূপের সূচনা হচ্ছে। গোটা ইউরোপ শীতের মরশুমে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছে। তাতে দেশগুলি অনেকটাই সফল হয়েছে। নিরাপজ ও কার্যকর ভ্যাকসিনও হাতে রয়েছে। কোভিড মোকাবিলায় নতুন চিকিৎসা ব্যবস্থারও সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু ভ্যাকসিনের বৈষম্য সবকিছুই বদলে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছেন তিনি। সাবধানতা আর টিকাকরণেই পারে কোভিড মহামারির হাত থেকে দ্রুত নিষ্কৃতি দিতে বলে জানিয়েছিল হু। 

Omicron Variant: করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট প্রমাণ করছে মহামারী শেষ হয়নি: বিজ্ঞানী

Covishield Booster: ওমিক্রনের মোকাবিলায় কার্যকরী কোভিশিল্ডের বুস্টার, জানাল আইসিএমআর

গবেষকদের দাবি আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে গোটা বিশ্বই করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। এটি আগেও করা যেত । 'কিন্তু বিশ্ববাসীর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা না থাকায় তা সম্ভব হয়নি।' তাঁরা আরও বলেছেন টিকা আবিষ্কারের পর থেকে এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে ৭.৫ বিলিয়নেরও বেশি ডোজ দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর জুনের মধ্যে ২৪ বিলিয়ন টিকার ডোজ তৈরি হবে। যা গোটা বিশ্বের মানুষকে টিকা দিতে যথেষ্ট। কিন্তু এখনও বিশ্বের একটা বিশেষ অংশ টিকা পায়নি। যা নিয়ে উদ্ধেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। দরিদ্র দেশগুলিতে টিকার মারাত্মক অভাব রয়েছে। সেখানে দ্রুত টিকা কর্মসূচি চালু করা গেলেই বিশ্ব করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাবে।