সংক্ষিপ্ত
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সঙ্গীতশিল্পি লতা মঙ্গেশকর। তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী তাঁরও খোঁজ খবর নেন বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে। আগামী বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করতে পারেন বলেও সূত্রের খবর।
করোনাভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত দেশের দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। তাঁদের স্বাস্থ্য খোঁজ খবর নেওয়ার পাশাপাশি দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার (Bihar CM Nitish Kumar) ও কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাই (Karnataka CM Basavraj Bommai )কোভিড-১৯এ আক্রান্ত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রায় পাঁচ মিনিট তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাই সোমবার জানিয়েছেন তিনি কোভিড পজিটিভ। এদিন তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চিকিৎসার জন্য। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন তাঁর শরীরে কোভিডের হলকা লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। তাঁর তেমন কোনও সমস্যা নেই। অন্যদিকে এদিন তিনি বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা অবস্থায়েও বেশ কয়েকটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। মূলত রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতির খতিয়ে দেখতেই এই বৈঠক করেন তিনি।
বোমাইয়ের পুত্র ও পুত্রবধূও মঙ্গলবার থেকে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তাঁর স্ত্রী ও কন্যা এখনও নেগেটিভ। মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে জানিয়েছেন তাঁরা সকলেই স্থিতিশীল রয়েছে। সকলেই হালকা কোভিড লক্ষণ রয়েছে। তবে তাঁরা একদিন যার যার সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদের আইসোলেশনে থাকার আবেদন জানিয়েছেন।
অন্যদিকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়িতেই নিভৃতবাসে রয়েছেন তিনি। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থা ও স্বাস্থ্যের বুলেটিন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়েছে। নীতিশ কুমার বিহারের মানুষদের যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকার আবেদন জানিয়েছেন। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বার হতে নিষেধ করেছেন। নীতিশ কুমারের মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যও ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
অন্যদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সঙ্গীতশিল্পি লতা মঙ্গেশকর। তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী তাঁরও খোঁজ খবর নেন বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে। আগামী বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করতে পারেন বলেও সূত্রের খবর।
বর্তমানে দেশে করোনা সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বাড়ছে। দৈনিক আক্রান্তের পরিসংখ্যানের গড় ১ লক্ষর কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। ওমিক্রনের কারণেই দেশে কোভিড সংক্রমণ দ্রুত হচ্ছে বলেও মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু রাজ্যে আংশিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু পরিষেবা। তবে প্রত্যেক রাজ্যও জরুরি ও অত্যাবষ্যকীয় পণ্যপরিষেবা চালু রেখেছে। তবে আংশিক এই লকডাউনে সংক্রমণে কতটা রাশ টাকা যাবে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।
সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে দেশের করোনা পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। দ্বিতীয় তরঙ্গের তুলনায় হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা তৃতীয় তরঙ্গে বেশি হতে পারে। এখনই হাসপাতালে ভর্তির হাস ১৫-২০ শতাংশ। সেইকারণে রাজ্যগুলিতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তুলতে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। একাধিকবার রাজ্যগুলিকে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ নিয়ে সতর্কও করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
NIA Files Charge Sheet: উত্তর প্রদেশের জালনোটকাণ্ড, NIA-র চার্জশিটে মালদার বাসিন্দার নাম
UP election 2022: ভোটের মুখে ঘর ভাঙল বিজেপির, যোগীকে বিদায় জানিয়ে অখিলেশের হাত ধরলেন মন্ত্রী
Goa Election 2022: গোয়া নিয়ে শরদ পাওয়ারের মন্তব্য, কংগ্রেস-তৃণমূল জোট নিয়ে জল্পনা