সংক্ষিপ্ত
দেশজুড়ে ওমিক্রন (Omicron) সংক্রমণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে, শনিবার রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। দেখে নেওয়া যাক তাঁর ভাষণের শীর্ষ কিছু উদ্ধৃতি।
দেশজুড়ে ওমিক্রন (Omicron) ভেরিয়েন্ট সংক্রমণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যেই, শনিবার ক্রিসমাসের (Christmas 2021) রাতে আচমকা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। আর সেই ভাষণে এল চমকে দেওয়া বেশ কিছু ঘোষণা - কিশোর-কিশোরীদের জন্য টিকাকরণ (COVID-19 Vaccine), বুস্টার ডোজ (Booster Dose), কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে নাসাল ভ্যাকসিন (Nasal Vaccine)। সেই সঙ্গে উত্সবের দিনগুলিতে নাগরিকদের সতর্ক থাকার ও যথাযথ কোভিড বিধি মেনে চলার এবং অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দেখে নেওয়া যাক, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের শীর্ষ কিছু উদ্ধৃতি -
- 'আজ, অনেক দেশই ওমিক্রন হুমকির সম্মুখীন। ভারতেও অনেক লোককে ওমিক্রন-এ আক্রান্ত হতে দেখা গেছে। আমি আপনাদের সকলকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। মাস্ক ব্যবহার, হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন মেনে চলতে হবে।'
আরও পড়ুন - Doctors welcome PM's decision: মোদীর ঘোষণা 'ক্রিসমাস গিফট', কী বললেন ডাক্তাররা
- 'এখন পর্যন্ত বৈশ্বিক করোনা মহামারির (Coronavirus Pandemic) লড়াইয়ের অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, ব্যক্তিগত পর্যায়ে সমস্ত কোভিড নির্দেশিকা অনুসরণ করা করোনা মোকাবেলায় একটি দুর্দান্ত অস্ত্র। দ্বিতীয় অস্ত্র টিকা।'
- 'ভারত এই বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে নাগরিকদের টিকা দেওয়া শুরু করেছিল। দেশের সকল নাগরিকের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং সম্মিলিত ইচ্ছার কারণেই ভারত আজ ১৪১ কোটি ভ্যাকসিন ডোজের অভূতপূর্ব এবং অত্যন্ত কঠিন লক্ষ্য অতিক্রম করেছে।'
-'এখন পর্যন্ত, ভারতের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৬১ শতাংশেরও বেশি ভ্যাকসিনের উভয় ডোজ পেয়েছে। একইভাবে, প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ ভ্যাকসিনের একটি ডোজ পেয়েছে।'
- 'ভারতে ১৮ লক্ষ আইসোলেশন বেড, ৫ লক্ষ অক্সিজেন সাপোর্টেড বেড, ১.৪০ লক্ষ আইসিইউ বেড, ৯০,০০০ পেডিয়াট্রিক আইসিইউ এবং নন-আইসিইউ শয্যা রয়েছে। আমাদের ৩,০০০টিরও বেশি পিএসএ অক্সিজেন প্ল্যান্ট রয়েছে, সারা দেশে ৪ লক্ষ অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরণ করা হয়েছে।'
- 'ভারতে শীঘ্রই নাসাল ভ্যাকসিন এবং কোভিডের বিরুদ্ধে বিশ্বের প্রথম ডিএনএ ভ্যাকসিন (DNA Vaccine) দেওয়া শুরু হবে।'
-'১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ৩ জানুয়ারি, ২০২২ থেকে টিকা দেওয়া শুরু হবে।'
- 'আমরা সকলেই অনুভব করেছি, এই লড়াইয়ে দেশকে সুরক্ষিত রাখতে করোনা যোদ্ধা, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং ফ্রন্টলাইন কর্মীদের বিরাট অবদান রয়েছে।'
- 'অতএব, সেই কথা বিবেচনায় করে, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মী এবং ফ্রন্টলাইন কর্মীদের জন্য ভ্যাকসিনের একটি প্রিকশন (সতর্কতামূলক) ডোজও দেওয়া হবে। এটা ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি, সোমবার থেকে শুরু হবে।'
- 'যাদের কোমর্বিডিটিস (সহঅসুস্থতা) আছে এবং বয়স ৬০ বছরের বেশি, তাঁরাও, ডাক্তারদের সুপারিশ মতো ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে প্রিকশন ডোজ নিতে পারবেন।'