সংক্ষিপ্ত

শনিবার প্রথমবারের জন্য ভারতের দৈনিক করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ পার করেছে

পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই মৃতের সংখ্যাও, গত ২৪ ঘন্টায় ৩৫২৩ জন

এরই মধ্যে এদিন ভারতে এসে পৌঁছচ্ছে তৃতীয় করোনা টিকা, 'স্পুটনিক ভি'

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটিই হতে পারে মোক্ষম অস্ত্র

একটানা নয় দিন ধরে দৈনিক করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষের বেশি থাকার পর, শনিবার প্রথমবারের জন্য ভারতের দৈনিক করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ পার করেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই মহামারি রোগে মৃতের সংখ্যাও (গত ২৪ ঘন্টায় ৩৫২৩ জন)। এরই মধ্যে শনিবারই ভারতে এসে পৌঁছচ্ছে এই দেশে অনুমোদন পাওয়া তৃতীয় করোনা টিকা, 'স্পুটনিক ভি'। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই এই বিষয়ে বিশদে জানিয়েছিলেন রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড বা আরডিআইএফ-এর প্রধান ক্যারিল দিমিত্রিয়েভ।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বরাত দিয়ে দিমিত্রিয়েভ বলেছিলেন, রুশ করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম শিপমেন্টটি ১ মে তারিখেই ভারতে পৌঁছে যাবে। মস্কো থেকে সরাসরি হায়দরাবাদে প্রথম শিপমেন্টটি পাঠানো হচ্ছে। এতে দেড় কোটি ডোজ স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন থাকবে। আরও ৩০ লক্ষ ডোজ টিকা আসবে এই মাসের পরের দিকে। এদিন সকালেই মস্কো থেকে টিকা নিয়ে একটি বিমান রওনা হয় হায়দরাবাদের উদ্দেশে। সেখানে ডাক্তার রেড্ডিজ ল্যআব-এর হাতে টিকাগুলি তুলে দেওয়া হবে। ভারতে এই টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়াল ও সরবরাহের বরাত পেয়েছে এই সংস্থাই। ভারতে কোভিড-১৯'এর দ্বিতীয় তরঙ্গের ফলে যে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে, তা নিরসনে রাশিয়ার তৈরি এই ভ্যাকসিন ভারতকে সহায়তা করবে বলেই দাবি করেছেন আরডিআইএফ-এর প্রধান।

শনিবার থেকেই ভারতে প্রাপ্তবয়স্ক সকলকে টিকা দেওয়ার কথা। টিকাদান অভিযানের শেষ ধাপে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের এই কর্মসূচির অন্তর্ভূক্ত করেছে কেন্দ্র। কিন্তু, অধিকাংশ রাজ্যেই বর্তমানে টিকার আকাল দেখা যাচ্ছে। সেই কারণে এদিন মাত্র ৬টি রাজ্যেই শেষতম বয়সগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হচ্ছে। বর্তমানে ভারতে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন - করোনার এই দুটি টিকাই রয়েছে। এদের পাশে স্পুটনিক ভি এসে গেলে টিকার ঘাটতি অনেকটাই মেটানো সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ট্রায়াল চলাকালীনই স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিনটিকে বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন হিসাবে গণহারে উৎপাদনের অনুমোদন দিয়েছিল রাশিয়া। সেই সময় ভ্যাকসিনটটির কাযর্কারিতা এবং সুরক্ষা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন বিশ্বের তাবড় ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু, পরবর্তীকালে গামালিয়া গবেষণা কেন্দ্রে বিকশিত এই ভ্যাকসিনটিকে বিশ্বের অন্যতম সেরা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। ফাইজার এবং মডার্নার তৈরি ভ্যাকসিন ছাড়া একমাত্র এই ভ্যাকসিনটিরই, সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকারিতা ৯০ শতাংশের বেশি। ২১ দিনের ব্যবধানে এই টিকার দুটি ডোজ দিতে হয়, সেই দুটি ডোজের মধ্যে সামান্য ফারাক রয়েছে।

আরও পড়ুন - 'লকডাউন, ভারত শিখুক চিনকে দেখে', করোনা মোকাবিলায় ৩ দফা পদক্ষেপের নিদান ডা. ফাউচির

আরও পড়ুন -- 'আকাশ ভেঙে পড়বে না'- ২ মে নয়, সুপ্রিম নির্দেশে পিছিয়ে যেতে পারে নির্বাচনের ফল প্রকাশ

আরও পড়ুন - কোভিড-১৯ - মাত্র ৬টি রাজ্যে আজ থেকেই ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাদান, বাংলায় কবে শুরু

এখনও পর্যন্ত ৬০ টিরও বেশি দেশ এই টিকা সংগ্রহের জন্য চুক্তি সাক্ষর করেছে। ভারতে গরমকাল চলতে চলতেই স্পুটনিক ভি-এর পাঁচ কোটিরও বেশি ডোজ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিষয়ে রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন।