সংক্ষিপ্ত
রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। ৯ থেকে একলাফে ১৪ হাজারের গণ্ডি পার করে গিয়েছে সংক্রমণ। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রেকর্ড লাফে রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ১৪ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে।
রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ (Daily Corona Cases)। প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। রেহাই পাচ্ছেন না চিকিৎসক (Doctor) ও পুলিশকর্মীরাও (Police Personnel)। আর এবার স্বাস্থ্য ভবনেও (Swasthya Bhawan) হানা দিল করোনা। আক্রান্ত ৬৬ জন কর্মী। ১৩৭ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল কল্যাণীতে। আর তাঁদের মধ্যে ৬৬ জনের করোনা পরীক্ষার (Corona Test) রিপোর্ট পজিটিভ (Positive Report) এসেছে।
রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। ৯ থেকে একলাফে ১৪ হাজারের গণ্ডি পার করে গিয়েছে সংক্রমণ। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (West Bengal Health Department) প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রেকর্ড লাফে রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ১৪ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। আর তার মধ্যে সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কলকাতা (Kolkata)। কারণ রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতায়। শুধু কলকাতাতেই একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ১৭০ জন। এই পরিস্থিতির হাত থেকে কোনওভাবেই রেহাই পাচ্ছেন না প্রথম শ্রেণির করোনা যোদ্ধা চিকিৎসক ও পুলিশকর্মীরা। একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- রাজ্যে ১৪ হাজারের গণ্ডি পার করল দৈনিক সংক্রমণ, কলকাতায় আক্রান্ত ৬১৭০ জন
করোনা, ওমিক্রন আবহে কলকাতায় স্বাস্থ্য পরিষেবায় সঙ্কট দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে হাসপাতালে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন চিকিৎসকরা। এনআরএসে ৭০ জন চিকিৎসক-নার্স করোনা আক্রান্ত। আর চিকিৎসকরা করোনা আক্রান্ত হওয়ার ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে হাসপাতালের মধ্যে। এছাড়া ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে (National Medical College Hospital) জুনিয়র চিকিৎসক ও চিকিৎসক মিলিয়ে আক্রান্ত ১০৫ জন।
শহর কলকাতায় এখনও পর্যন্ত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) প্রায় ৬৫ জন করোনা আক্রান্ত। কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। ২৫ থেকে বাড়িয়ে তা ৪৮ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পৌরনিগম। কলকাতায় শুরু হতে চলেছে তিনটি সেফহোম। এখনও পর্যন্ত প্রতিদিন সেফহোমে পুরোপুরি কাজ শুরু হলেও সংক্রমিত ব্যক্তির আসার সংখ্যা খুবই কম। কারণ অনেকের শরীরেই করোনার মৃদু উপসর্গ থাকছে। আর সেই কারণে তাঁরা বাড়িতেই নিভৃতবাসে থাকছেন। ফলে সেফহোমের কোনও প্রয়োজন হচ্ছে না। তবে যাঁদের বাড়িতে আলাদা ঘর নেই, তাঁরাই একমাত্র সেফহোমে থাকছেন।
আরও পড়ুন- হু হু করে বাড়ছে করোনা, আসানসোলে মাস্ক অভিযানে নেমে ৯০ জনকে গ্রেফতার পুলিশের
এদিকে প্রায় প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। আর তাঁদের এভাবে আক্রান্ত হতে দেখে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। এভাবে কলকাতায় সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠক করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সেই ভার্চুয়াল বৈঠকে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা, শিক্ষা স্বাস্থ্য অধিকর্তা, সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষরা।