সংক্ষিপ্ত

  • করোনার আতঙ্ক থেকে আপাতত স্বস্তি
  • স্বস্তি পেল দমদমের মৃতের পরিবার
  •  তাদের লালারসের পরীক্ষা করোনা নেগেটিভ
  •  বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রে এমনই খবর 

করোনার আতঙ্ক থেকে আপাতত স্বস্তি পেল দমদমের মৃতের পরিবার। তাদের লালারসের পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ  এসেছে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে।

লকডাউন মানছে না অবাধ্য় কলকাতা, ঘরে ঢোকাতে গ্রেফতার ২৫৫

গতকালই মৃত্যু ঘটে করোনায় আক্রান্ত দমদমের বাসিন্দার। স্ত্রী সহ পরিবারের অন্যরা ছিলেন কোয়রান্টিনে। ছেলে আমেরিকায় থাকায় মৃতের সৎকারে আসতে পারেনি পরিবারের লোকজন। তবে স্বাস্থ্য় দফতর সূত্রে  জানা গিয়েছে। মৃতের সঙ্গে থাকলেও পরিবারের কারও শরীরে করোনার ভাইরাস পাওয়া যায়নি। তবে তাদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। যদিও দমদমের যোগীপাড়ার ওই ব্যক্তি  করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয় এলাকায়। আপাতত সেই থমথমে পরিবেশ থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পেয়েছে এলাকার মানুষজন। 

করোনায় মৃতের দেহ সৎকারে বাধা, মধ্য়রাতেও চলল পুলিশের সঙ্গে বচসা

সকালেই খবরটা ছডি়য়ে গিয়েছিল চারিদিকে। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে পাঞ্জায় হেরে গিয়েছেন দমদমের ৫৭ বছরের বাসিন্দা। এরপর একে একে সারা দেশে ছড়িয়ে যায়া সেই খবর। রাজ্য়ে প্রথম করোনায় মৃত দমদমের বাসিন্দা। যদিও মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়ে দেন,পরিবারের কাছে দেহ দেওয়া যাবে না। পরে অবশ্য় জানা যায়, স্ত্রী সহ পরিবারের অন্য়ান্যরা কোয়রান্টিনে থাকায় দেহ দাহর দাবিদার নেই কেউ। একমাত্র ভরসা বলতে আমেরিকায় থাকা ছেলে। কিন্তু বিকেল  হতেই জানা গেল, করোনা ভাইরাসের দরুণ সব বিমান বাতিল করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাই তার বাড়িতে ফেরার কোনও সুযোগ নেই। 

মাধ্য়মিকের খাতায় করোনার আতঙ্ক, খাতা দেখা বন্ধের নির্দেশ পর্ষদের

শেষে প্রশাসনের কাছে বাবার চিতাভষ্মটুকু রেখে দেওয়ার আবেদন করলেন ছেলে। সেই হোওয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে।সরকারি আদিকারিকের কাছে বার্তায় ছেলে লিখেছেন, 'গত এক বছর ধরে আমি আমেরিকায় রয়েছি। আমার পরিবারের সদস্যরা কোয়রান্টিনে থাকায় তারাও বাবাকে দাহর কাজে থাকতে পারবেন না। বিমানযাত্রায় বিধিনিষেধের কারণে আমিও দেশে আসতে পারব  না। মেডিকেল নিয়ম মেনে যদি বাবার চিতাভষ্মটা রাখতে  পারেন তাহলে বাধিত থাকব।'   

সোমবার সর্বদলীয়  বৈঠকের কিছুক্ষণের মধ্য়েই মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে একটি এসএমএস আসে। তখন মুখ্য়মন্ত্রীকে কিছু বলতে যাচ্ছিলেন বিরোধীরা। হঠাৎই সবার সামনে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন,আমার কাছে এই মাত্র খবর এল, সল্টলেকে দমদমের যে ভদ্রলোক ভর্তি ছিলেন, তিনি মারা গেছেন। দমদমের যে পরিবারটা কয়েকদিন আগে ইতালি থেকে ফিরেছিল। ওই পরিবারের যিনি ভর্তি ছিলেন। উনিও ইতালি থেকে ফিরেছিলেন।

জানা গিয়েছে, ৫৭ বছরের দমদমের ওই বাসিন্দার ছেলে আমেরিকায় থাকেন। এরমধ্য়ে বাবার সঙ্গে ছেলের সাক্ষাৎ হয়েছে কিনা তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। আক্রান্ত হওয়ার আগে ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরে ঘুরতে গিয়েছিলেন দমদমের করোনা আক্রান্ত। সস্ত্রীক সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের অনুমান, ট্রেন থেকেই ভাইরাস ছড়িয়েছে তাঁর শরীরে। জানা গিয়েছে, আজাদ হিন্দ এক্সপ্রেসে কলকাতায় ফেরেন আক্রান্ত। ট্রেনেও সংক্রমণ হয়ে  থাকতে পারে বলে জানিয়েছিল পরিবারের একাংশ।

সূত্রের খবর, যে ডাক্তার ওই বৃদ্ধকে দেখছিলেন তাঁর কাছে বৃদ্ধের স্ত্রী স্বীকার করেছেন, ইতালি থেকে ফিরছিলেন তাঁদের ছেলে-বউমা। এই খবর জানতে পেরেই ওই হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক হোম কোয়ারানটিনে চলে গিয়েছেন। যে পালমনোলজিস্ট ওই বৃদ্ধকে দেখছিলেন তাঁর প্রথম থেকে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয়েছিল। বৃদ্ধর স্ত্রী'কে কাউন্সিলিং করার পরই বিষয়টি তিনি চিকিৎসককে জানান। নবান্নে মুখ্য়মন্ত্রীর মুখেও সেই এক কথা শোনা যায়। এদিন করোনা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে যা শোনা যায় খোদ মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের মুখে।