সংক্ষিপ্ত
প্রায় দশ হাজারে গিয়ে ঠেকল বঙ্গের নতুন সংক্রমণ
মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের
কলকাতাতেই মৃত্যু ১৩ জনের
কী অবস্থা এদিনের রাজ্যের করোনা পরিসংখ্যানের
প্রায় দশ হাজারে গিয়ে ঠেকল পশ্চিমবঙ্গের নতুন করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যে করোনা বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে, তার তথ্য অনুযায়ী এদিন সারা দিনে বাংলায় নতুন সংক্রমণ নথিভুক্ত হয়েছে, ৯,৮১৯টি। ফলে এদিন বাংলার মোট করোনা রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৬,৭৮,১৭২-এ। সেইসঙ্গে এদিন রাজ্যে করোনা-জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের। ফলে করোনায় বাংলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে, ১০,৬৫২-তে।
সবথেকে খারাপ অবস্থা শহর কলকাতার। এদিন কলকাতায় নতুন করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে ২,২৩৪টি। এরপর আছে উত্তর ২৪ পরগণা, সেখানে নতুন সংক্রমণ ১৯০২। এছাড়া ক্রমশ পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা (৫৮১), হাওড়া (৫৭৭), পশ্চিম বর্ধমান (৫৪৭), হুগলী (৪৯০), মালদা (৪১৮, মুর্শিদাবাদ (৩৮৯) সহ প্রতিটি জেলাতেই।
করোনা জনিত কারণে মঙ্গলবার রাজ্যের যে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে ১৫ জনই উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। এছাড়া কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে মালদায়। ২ জন করে মানুষের মৃত্যু হয়েছে হুগলী, হাওড়া, পশ্চিম বর্ধমানে এবং একজন করে মানুষের মৃত্যু হয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায়।
আরও পড়ুন - সংক্রমিত অন্তত ৭১ জন - মমতার অভিযোগই কি সত্যি, করোনা সংক্রমণে কতটা দায়ী কেন্দ্রীয় বাহিনী
আরও পড়ুন - ২৪ ঘন্টা ধরে হাসপাতালেই পড়ে আছে করোনা রোগীর দেহ, বাংলায় ফিরল আতঙ্কের সেই দিন
এদিন স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নন্দন প্রেক্ষাগৃহে এক বিশেষ বৈঠক করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনের পর বাংলা কোভিড পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। এই অবস্থায় এখন থেকেই রাজ্যে সেফ হোমের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এমনকী হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য করিডোর ও লবির মতো জায়গায় অতিরিক্ত শয্যার ব্যবস্থা করা যায় কি না, সেই নিয়েও আলোচনা চলছে।
এদিনই দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বের হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তবে লকডাউন যথা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া হবে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, লকডাউন হল শেষ অস্ত্র।