সংক্ষিপ্ত
- করোনা আতঙ্কে গৃহবন্দি
- মানসিক অবসাদ গ্রাস করেছিল বৃদ্ধকে
- নিজের বাড়িতে আত্মহত্যা করলেন তিনি
- ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বেলদায়
করোনা আতঙ্কে বাইরে বেরনোর উপায় নেই। এক সপ্তাহ গৃহবন্দি থাকার পর আত্মহত্যা করলেন এক বৃদ্ধ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায়।
আরও পড়ুন: আক্রান্তের পরিবারের আরও দু'জন সংক্রমিত, করোনা আতঙ্ক বাড়ছে শেওড়াফুলিতে
মৃতের নাম হরেন্দ্র জানা। বাড়ি, বেলদার খালিনা গ্রামে। করোনা আতঙ্কে আরও অনেকেই মতো বাড়িতে কার্যত বন্দিদশায় দিন কাটছিল ওই বৃদ্ধেরও। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, টিভিতে খবর দেখে মাঝেমধ্যেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়তেন হরেন্দ্র। ভয় কাটাতে বাইরে যাওয়ার চেষ্টাও করতেন। কিন্তু আশেপাশের লোকজনদের কাছে বাধা ফের ঢুকে পড়তে হত বাড়িতেই। এভাবেই চলছিল। শেষপর্যন্ত বুধবার সকালে নিজের ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন হরেন্দ্র জানা। ঘটনাটি জানাজানি হতে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর দেওয়া হয় থানায়। মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়মমাফিক ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: করোনা গুজবে 'একঘরে', মানসিক চাপে আত্মহত্যা করলেন যুবক
আরও পড়ুন: বাদ সাধল করোনা আতঙ্ক, মুর্শিদাবাদে বাতিল একাধিক বিয়ের অনুষ্ঠান
করোনা আতঙ্কেই কি আত্মহত্যা করলেন ওই বৃদ্ধ? পাড়া-প্রতিবেশীদের দাবি তেমনই। তাঁদের বক্তব্য, এমনতি খুবই মিশুকে প্রকৃতির মানুষ ছিলেন হরেন্দ্র। বাড়িতে থাকতে খুব একটা পছন্দ করতেন না। দিনভরই এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়াতেন তিনি। করোনা আতঙ্কে বাইরে বেরতে না পারায় মানসিক অবসাদ গ্রাস করেছিল ওই বৃদ্ধকে। চারপাশের পরিস্থিতিতে ভুগছিলেন আতঙ্কে। তারজেরে ঘটে গেল এমন মর্মান্তিক ঘটনা।