সংক্ষিপ্ত
- লকডাউনের মাঝে ঘটল বিপর্যয়
- মেয়ের মৃত্যুতেও ফিরতে পারছেন না মা
- এ রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতে এসেছিলেন তিনি
- আটকে পড়েছেন বর্ধমানে
মেয়ে তো আর ফিরবে আসবে না। কিন্তু তাকে কি শেষবারের মতো দেখতেও পাবেন না! এ রাজ্যে কাজ করতে এসে লকডাউনে জেরে আটকে পড়েছেন ভিনরাজ্যের এক মহিলা। মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে 'ব্রাত্য' জামাই, শ্বশুরবাড়িতে ঠাঁই মিলল না যুবকের
করোনা সতর্কতায় অবরুদ্ধ গোটা দেশ। বিহারের ভাগলপুর, মুঙ্গের ও বাঁকা জেলা থেকে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে কাজ এসেছিলেন একদল পরিযায়ী শ্রমিক। সেই দলে ছিলেন মুঙ্গের-এর বাসিন্দা অনিতা দেবীও। লকডাউনের গেরোর বাড়ি ফেরার উপায় নেই, আটকে পড়েছেন সকলেই। মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে কাটোয়ার নিয়ন্ত্রিত বাজারের ছাউনিতে। এই যখন পরিস্থিতি, ঠিক তখনই ঘটল বিপর্যয়।
আরও পড়ুন: বিয়ের জন্য জমানো ছিল টাকা, করোনা ত্রাণে এগিয়ে এলেন হবু দম্পতি
আরও পড়ুন: বহিরাগতদের ভিড়ে করোনা আতঙ্ক, গ্রামে মদের ঠেক ভাঙলেন মহিলারা
মুঙ্গের থেকে খবর এসেছে, অনিতার বছর পনেরোর মেয়ে মারা গিয়েছে! খবর পাওয়ার পর থেকেই কেঁদে ভাসাচ্ছেন ওই মহিলা। বাড়ি ফেরার জন্য ছটফট করছেন। অনিতার স্বামীও পরিযায়ী শ্রমিক। হরিয়ানার একটি গ্রামে কাজ করতে গিয়ে আটকে পড়েছেন তিনিও। ওই দম্পতির তিন মেয়ে। যে মারা গিয়েছে, সে ছিল বড়। বাকি দু'জন নেহাতই শিশু। অনিতা দেবীর দাবি, তাঁর বড় মেয়ে সুস্থই ছিল। কিন্তু বাবা-মার জন্য খুবই দুঃশ্চিন্তায় করত সে। এতটাই দুঃশ্চিন্তা করত যে, গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে বছর পনেরোর ওই বালিকা। মঙ্গলবার সকালে সে মারা যায়। কবে বাড়ি ফিরতে পারবেন অনিতা দেবীর মতো পরিযায়ী শ্রমিকরা? উত্তর জানা নেই কারও!