সংক্ষিপ্ত

আবারও  চিনকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
করোনাভাইরাসে মৃতের সঠিক পরিসংখ্যন প্রকাশের দাবি
অবিলম্বে সত্য প্রকাশের দাবি ট্রাম্পের
দাবি আমেরিকার থেকে অনেক বেশি মত্যু চিনে

 করোনাভাইরাসের মৃতের সংখ্যায় এখনও প্রথম স্থানে রয়েছে চিন।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়। আবারও বেজিংকে রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রকৃত তথ্য গোপন করছে চিন। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলনে আবারও এই অভিযোগ করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গত শুক্রবারই আচমকাই মৃতের সংখ্যা প্রায় এক হাজার বাড়িয়ে দিয়েছিল চিন। উনান পুরসভার পক্ষ থেকে নতুন তথ্য পেশ করে বলা হয়েছিল আগে কিছু ভুল থাকায় তা সংশোধন করা হয়েছে। আর এই কারণেই চিনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা আচমকাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬৩২। যা নিয়েই আবারও আসরে নেমে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। 

ট্রাম্পের বক্তব্য, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ইতালি এবং স্পেনে স্বাস্থ্য পরিষেবা যথেষ্ট উন্নত। একই সঙ্গে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থাও। কিন্তু সেইসব দেশে মৃতের হার অনেক বেশি। সেখানে চিন কী করে করোনাভাইরাসে সংক্রমিতের মৃতের হার ০.৩৩ শতাংশে বেঁধে রাখতে পারল।  অবিলম্বে সত্য প্রকাশের দাবি জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট চাড়া সুরেই বলেন, সত্যিটা কী সেটা যেমন আপনিও জানেন, তেমন আমিও জানি। তাই অবাস্তব তথ্য না দিয়ে অবিলম্বে আসল তথ্য সামনে আনা হোক। চিনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তেমনই দাবি ট্রাম্পের। 

বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রীতিমত ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লক্ষেরও বেশি। মৃত্যে হয়েছে প্রায় ৩৯ হাজার মানুষের। যা বিশ্বের বাকি দেশগুলির থেকে অনেক বেশি। ইউরোপের স্পেন, ইতালির মত দেশ যেখানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে রীতিমত মৃত্যুপুরীর চেহারা নিয়েছে সেই দেশগুলির থেকেও অনেক বেশই মানুষের মৃত্যু হয়েছে আমেরিকায়। কিন্তু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বলেন, মাথাপিছু মৃত্যের হারও ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলির থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেক কম। 

আরও পড়ুনঃ লকডাউনে সায় নেই, অত্যাধিক টেস্টও করেনি, করোনা মোকাবিলায় সফল চিনের প্রতিবেশী তাইওয়ান ...

আরও পড়ুনঃ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তে হয়ে মৃত্যু ৫০৭ জনের, আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজারেরও বেশি ...

আরও পড়ুনঃ প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ নীতিতে বড়সড় রদবদল, চিনকে আটকাতে মরিয়া কেন্দ্র ...

চিনের উনানকেই করোনাভাইরাসের আঁতুড়ঘর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গত ডিসেম্বরে এই রোগের প্রকোপ দেখা গিয়েছিল উনানে। ক্রমেই তা ছড়িয়ে পড়ে। তারপর গোটা বিশ্বেই অতিমারীর চেহারা নিয়েছে। আর প্রথম থেকেই তথ্য গোপন করার অভিযোগ তুলে চিনকে কাঠকড়ায় দাঁড় করিয়েছেন ট্রাম্প।