করোনার সংক্রমণ রুখতে তৎপর ভারতীয় সেনা তৈরি হয়েছে একাধিক আপতকালীন হাসপাতাল রয়েছে ১৬০০ শয্যা পর্যালোচনা বৈঠকে রাজনাথ সিং

ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশের নাগরিকদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য ঝাঁসি, গোয়া, বিন্নাগুড়িতে তিনটি আপতকালীন হাসপাতাল তৈরি করেছে। যেখানে ১৬০০টি শয্যা তৈরি করা হয়েছে। জরুরী প্রয়োজনে এমন আরও হাসপাতাল তৈরি করা যাবে বলেও সেনার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের তরফ থেকে দিল্লি পুলিশকে ১০ হাজার মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় প্রথম থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতা গ্রহণ করেছিলে ভারতীয় সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে ভারতীয় সেনা বাহিনীর সঙ্গে একটি বৈঠকে উঠে এসেছে তেমনই তথ্য। এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, চিফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সেনা নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধান। 

Scroll to load tweet…

এই পর্যালোচনা বৈঠকে সেনার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ রীতিমত অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে সেনা। বিশ্বের বিভিন্ন করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে ভারতীদের যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সরিয়ে আনা হয়েছে। ভারতীয়দের দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় পরিষেবা। তবে তারজন্য সেনা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

 আরও পড়ুনঃ খেতে না পেয়ে মরার থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মরাই ভালো, লকডাউনের দিল্লি থেকে আর্জি মহিলার

আরও পড়ুনঃ লকডাউনে কোনও মানুষই খালি পেটে ঘুমাতে যাবে না, ১লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ কেন্দ্রের

আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পুরস্কার, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের ৫০ লক্ষ টাকার বিমা

করোনা আক্রান্ত ইরান থেকে ২৭৭ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করা হয়েছিল। যারমধ্যে ১৪৯ জন মহিলা ও ৬ শিশু ছিল। এরা অধিকাংশই হজযাত্রী ছিলেন। যোধপুরে অবস্থিত ইন্ডিয়ান আর্মি ফেসিলিটি ভারতীয়দের উদ্ধার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। সেখানেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছিব তাঁদের। দেওয়া হয়েছিল প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও। 

নাগরিকদের পরিষেবা দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র একজনের শরীরে করোনার নমুনা পাওয়া গেছে। চিকিৎসকসহ প্রায় ১২০০ জন পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।