কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলি মোকাবেলায় সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রতিদিন কোভিডের তথ্য আপডেট করা গুরুত্বপূর্ণ। তথ্যের দ্রুত এবং ক্রমাগত আপডেট করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে।
যেসব শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বা যাদের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ বড সমস্যার কারণ হতে পারে আগামী দিনে।
দিল্লি গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনের কোভিড -১৯ মামলায় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাক্ষী হচ্ছে। শনিবার দিল্লিতে ৪৬১টি কোভিড কেস রেকর্ড করা হয়।
কোভিড সংক্রমণ যাতে প্রাথমিক পর্যায়েই রুখে দেওয়া যায় সেই জন্য নতুন করে দেশের মানুষের কাছে মাস্ক পরার আর্জি জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
সোমবার দেশের করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণের রিপোর্ট। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ ১৮৩। রবিবারও আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১৫০।
অভিভাবকদের আশ্বাস্ত করে বলেছেন, এখন আর অভিভাবকদের সংক্রমণের সংখ্যার দেখলে চলবে না। তিনি বলেছেন অভিভাবকদের দেখতে হবে স্কুলে বা কলেজে কতজন পড়ুয়া সংক্রমিত হয়েছে।
গত কয়েক দিনে পজেটিভিটি রেট বেড়েছে এক শতাংশের ওপরে। চৌঠা এপ্রিল থেকে ১.৩৪ শতাংশ ছিল এই হার।
আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাকি পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে। স্কুলের সব ছাত্র ছাত্রীকে আপাতত বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, কোভিড-১৯ একটি বহুরূপী ভাইরাস। এটি সর্বদাই রূপ পরিবর্তন করছে। তাই কেউই জানে না এটি কখন পুনরুত্থিত হবে।
সেরাম ইনস্টিটিউ অব ইন্ডিয়ার প্রধান আদার পুনাওয়ালে টুইট করে জানিয়েছেন, কোভিশিল্ডের দাম ডোস প্রতি ৬০০ টাকা থেকে কমিয়ে ২২৫ টাকা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সকলের জন্য বুস্টার ডোস চালু করার একদিন আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে।