সংক্ষিপ্ত

গর্ভবতী মহিলাদের দ্রুত ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত। এতে মহিলারা, তারই সঙ্গে গর্ভস্থ সন্তান সুস্থ থাকবে

গর্ভবতী মহিলাদের দ্রুত ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত। এতে মহিলারা, তারই সঙ্গে গর্ভস্থ সন্তান সুস্থ থাকবে। তাই প্রতিটি গর্ভবতী মহিলার ভ্যাকসিন নিয়ে নেওয়া উচিত। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই জানান নীতি আয়োগ (স্বাস্থ্য) সদস্য ভি কে পল। তিনি জানান করোনা ভাইরাস গর্ভস্থ ভ্রূণের চরম ক্ষতি করতে পারে। সেই ধরণের বিপদ এড়াতে একমাত্র অস্ত্র ভ্যাকসিন। 

ভি কে পল জানান ইতিমধ্যেই এই তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে করোনা ভাইরাস গর্ভাবস্থায় যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। মায়ের শরীরে যেমন ক্ষতি হয়, তেমনই ক্ষতি হতে পারে তাঁর সন্তানের। তাই যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন নিলে গর্ভবতী মায়েরা সুস্থ থাকবেন, তাঁর সন্তানও নিরাপদ থাকবে করোনা ভাইরাসের হাত থেকে। 

এর আগে কেন্দ্র জানায়, এখনও পর্যন্ত দেশের ৯০ শতাংশের বেশি করোনা সংক্রমিত গর্ভবতী মহিলার হাসপাতালে ভর্তির কোনও প্রয়োজন হয়নি। বাড়িতে যাথাযথ পরিচর্যার মাধ্যমেই তাঁরা সেরে উঠেছেন। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে করোনা আক্রান্ত গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্য দ্রুত অবনতি হতে পারে। প্রভাব পড়তে পারে ভ্রূণের ওপরেও। আর সেই কারণেই মা আর সন্তানের সুরক্ষার জন্যই গর্ভবতী মহিলাদের কোভিড টিকা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রক।  মন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে গর্ভাবস্থায় কোভিড ১৯-এর সংক্রমণ যাতে মহিলাকে ঝুঁকিতে না ফেলে তার জন্যই টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। 

কেন্দ্র আরও জানায়, কিছুক্ষেত্রে দেখা গেছে গর্ভাবস্থায় করোনা আক্রান্ত হওয়ায় অকাল প্রসবের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলেছে। শিশুর ওজন আড়াই কিলোগ্রামের কমও হতে পারে। বিরল পরিস্থিতিতে শিশুর জন্মের আগেই মারা যেতে পারে। বলা হয়েছে গর্ভবতী মহিলার বয়স যদি ৩৫এর বেশি হয়, স্থূলাকার হন, আগে থেকে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে তাহলে সেই মহিলারা কনোভাইরাসে আক্রান্ত হলে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে। বর্তমানে গর্ভাবস্থায় কোনও মহিলা কোভিড ১৯এ সংক্রমিত হলে প্রসবের পরপরই তাঁকে টিকা দেওয়া জরুরি।