সংক্ষিপ্ত

  • টন্টনে ওয়েস্টইন্ডিজ ৩২১ রান তুলেছিল
  • জবাবে মাত্র ৪১.৩ ওভারেই ম্যাচ জিতে নিল বাংলাদেশ
  • ১২৪ রান করে অপরাজিত থাকলেন সাকিব
  • লিটন দাস ৬৯ বলে ৯৪ রান করলেন

 

টন্টনের গ্যালারিতে ব্যঘ্র গর্জনে কান পাতাই দায়, গোটা মাঠ জুড়ে একটাই আওয়াজ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ! পতপতিয়ে উঠল সবুজ-লাল পতাকা। কি ব্য়াটিংটাই না করলেন বাংলাদেশী ব্য়াটস্য়ানরা। শুরুতে একটা জমাট প্ল্যাটফর্ম গড়ে দিলেন তামিম (৪৮) ও সৌম্য। আর তার উপর বিধ্বংসী ব্য়াটিং করলেন সাকিব আল হাসান (১২৪*) ও লিটন দাস (৯৪*)। আর তাতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩২২ রানের বড় লক্ষ্যমাত্রায় অনায়াসে মাত্র ৪১.৩ ওভারেই পৌঁছে গেল বাংলাদেশ। জয় এল ৭ উইকেটে। ম্যাচের সেরা অবশ্যই সাকিব।   

এদিন ওয়েস্টইন্ডিজ প্রথমে ব্যাট করে ৩২১ রান তুলেছিল। রানটা কিন্তু খুব একটা খারাপ ছিল না। কিন্তু বিকল্প কোনও পরিকল্পনা না থাকায় প্রথম থেকেই দিশা হারা দেখাল ওয়েস্টইন্ডিজ বোলিং-কে। প্রথম উইকেটে সৌম্য সরকার (২৯) ও তামিম (৪৮) ৫২ রান তুলে দিয়েছিলেন। এরপর সাকিবের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৯ রান যোগ করেন তামিম। শেলন করেলের দুর্দান্ত, রিফ্লেক্সের শিকার হয়ে রান আউট হন তামিম। মুশফিকুর (১)-ও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।

সেই সময় মনে হয়েছিল ম্যাচটি যে কোনও দিকে ঢলে পড়তে পারে। কিন্তু এখান থেকেই খেলাটা ধরেছিলেন সাকিব ও এদিনই বিশ্বকাপ অভিষেক হওয়া লিটন দাস। ওয়েস্টইন্ডিজ বোলিং এই বিশ্বকাপে শর্টবল করার কৌশল নিয়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যা দারুণ খেটে গিয়েছিল। কিন্তু এদিন সাকিব ও লিট দুজনেই শর্টবলে একের পর কাট, পুল মেরে গেলেন। সামনে বল করলে ড্রাইভ করে বল পাঠালেন বাউন্ডারিতে। আর তাতেই একেবারে পথ হারালো ক্যারিবিয়ান বোলিং। কোথায় বল করবে তাই ঠিক করে উঠতে পারল না।  

সাকিব আল হাসান সম্ভবত জীবনের সেরৈা ফর্মে আছেন। চলতি বিশঅবকাপে এই নিয়ে দ্বিতীয় শতরান হয়ে গেল তাঁর। ১৬টি চার মেরে ৯৯ বলে করলেন রানটা। আর তাঁর স্যাঙাত লিটন করলেন ৬৯ বলে ৯৪। দুজনের পঞ্চম উইকেটের জুটিতে হল রেকর্ড অপরাজিত ১৮৯ রান।

আরও পড়ুন- ফের বিশ্বরেকর্ড সাকিবের! অলরাউন্ডারের দাপটে পাল্টে গেল নজির-বইয়ের বেশ কিছু পাতা

বাংলাদেশের ব্যাটিং-র মতো বোলিং কিন্তু বাল হয়নি। বেশ এলোমেলোই বল করেছএন সইফুদ্দিনরায যদিও শেষ দশ ওভারে তুলনায় ভাল বল হয়েছে। নাহলে ওয়েস্টইন্ডিজের রান সহজেই ৩৫০ ছাপিয়ে যেত।

এদিন গেইল শূন্য করার পর দারুণ ব্যাট করেন শাই হোপ (৯৬) ও এভিন লুইস। আর তাতের সাজানো মঞ্চে এসে আতশবাজির মতো ২৬ বলে ৫০ রানের একটি মারকাটারি ইনিংস খেলেছিলেন শিমরণ হেটমায়ার। কিন্তু তাঁদের প্রচেষ্টা বোলিং পরিকল্পনার অভাবে জলে গেল।

আরও পড়ান - বিরক্ত আখতার, হারালেন মুখের লাগামও - ধুয়ে দিলেন ক্যাপ্টেনকে

আর আন্দ্রে রাসেলকে নিয়ে এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিতেই হবে ওয়েস্টইন্ডিজকে। বাকি দলগুলি যেখানে একজন বা দুইজন স্পিনার নিয়মিত খেলাচ্ছে, সেখানে ক্যারিবিয়ান দলের একমাত্র স্পিনার অশলে নার্সকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। তার বদলে জোড়া তালি চালানোর চেষ্টা হচ্ছে আন্দ্রে রাসেল-কে। ব্যাটে রান করতে পারছেন না। বল করতে এসে হাঁটুর ব্যাথায় গড়াগড়ি খাচ্ছেন। ফিল্ডিং করতে গি.য়ে খোড়াচ্ছেন। এইভাবে দিনের পর দিন কিন্তু বস্তুত একজন খেলোয়াড় কম নিয়ে নামছে ওযেস্টইন্ডিজ।