সংক্ষিপ্ত

রঞ্জি ট্রফির ( Ranji Trophy 2022) কোয়ার্টার ফাইনালে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে পাহার প্রমাণ স্কোর করল বাংলা (Bengal vs Jharkhand)। দ্বিতীয় দিনে শতরান অনুষ্টুপ মজুমদারের। দ্বিশতরান হাতছাড়া সদীপ ঘরামির। দ্বিতীয়  দিনের শেষে বাংলা ৫৭৭ রানে ৫ উইকেট। 
 

রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয়  দিনে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে রানের পাহাড়ে বাংলা দল। ম্যাচের রাশ পুরোপুরি কোচ অরুণ লালের দলের হাতে। অবিশ্বাস কোনও কিছু না ঘটলে সেমি ফাইনালে ওঠা বাংলার কাছে শুধু সময়ের অপেক্ষা। ম্যাচের প্রথম দিনে সুদীপ ঘরামির সেঞ্চুরি এবং অভিমূন্য ঈশ্বরন ও অনিষ্টুপ মজুমদারের হাফ সেঞ্চুরি দেখেছিল ক্রিকেট প্রেমিরা। দ্বিতীয় ব্যাটিং দাপট বজায় রাখল বাংলার ছেলেরা। একদিকে যেমন বিতর্কিত আউটে অল্পের জন্য দ্বিশতরান হাতছাড়া করলেন সুদীপ ঘরামি অপরদিকে শতরান করলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। প্রথম দিনে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন অভিষেক রমন। তিনিও এদিন মাঠে নেমে হাফ সেঞ্চুরি করেন। এছাড়াও অর্ধশতরান করেন মনোজ তিওয়ারি ও অভিষেক পোড়েল।  দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলার স্কোর ৫৭৭ রানে ৫ উইকেট।

প্রথম দিনের শেষে বাংলার স্কোর ছিল ৩১০ রানে এক উইকেট। ১০৬ রানে অপরাজিত ছিলেন সুদীপ ঘরামি ও ৮৫ রানে অপরাজিত ছিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। সেখান থেকে দ্বিতীয় দিনের সকালেও অনবদ্য শুরু করেন তারা।  শুরু থেকেই নিজেদের স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলেন তারা। একের পর এক চোখ ধাঁধানো শট খেলে রানের পাহাড় গড়তে থাকেন। নিজের শতরান পূরণ করেন অনুষ্টুপ মজুমদার। এই মরসুমে নিজের ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করে চারে নামছিলেন অনুষ্টুপ। সেখানেও সেঞ্চুরি করে নিজের জাত চেনালেন তিনি। অপরদিকে নিজের ১৫০ রান পূরণ করেন সুদীপ ঘরামি। ২৪৩ রানের পার্টনারশিপ করার ভাঙে তাদের জুটি। ১১৭ রান করে শাহবাজ নাদিমের বলে আউট হন অনুষ্টুপ মজুমদার। এরপর ক্রিজে আসেন প্রথম দিনে চোট পেয়ে উঠে যাওয়া অভিষেক রমন। তিনিও এসে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন। ৪২১ রানে পড়ে বাংলার তৃতীয় উইকেট। ৬১ রান করে অনুকুল রায়ের বলে আউট হন অভিষেক রমন। 

আরও পড়ুনঃলক্ষ্য ভারতের মাটিতে টিম ইন্ডিয়াকে হারানো, প্রোটিয়া ক্রিকেটারের ভরসা এমএস ধোনি

আরও পড়ুনঃউমরানের আগুনে পেস, অর্শদীপের নিখুঁত ইয়র্কার, অনুশীলনে তাক লাগালেন দুই পেসার, দেখুন ভিডিও

অপরদিকে, নিজের ইনিংস চালিয়ে যান সুদীপ ঘরামি। দ্বিশতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন তিনি।  কিন্তু ১৮৬ রানের মাথায় রাহুল শুক্লর বল সেই স্বপ্ন ভেঙে দিল। দলের ৪৫৫ রানের মাথায় রাহুলের বল লেগ স্টাম্পের বাইরে ছিল। সেই বলে ব্যাট এগিয়ে দেন সুদীপ। সুদীপকে পার করে বল জমা পড়ল উইকেটরক্ষক কুমার কুশগ্রর হাতে। আউটের আবেদন করল ঝাড়খণ্ড। আম্পায়ার আঙুল তুলতেই মাথা নাড়তে থাকেন সুদীপ। বল তাঁর ব্যাটে লেগেছিল কি না তা স্পষ্ট নয়। এরপর মনোজ তিওয়ারি ও  তরুণ অভিষেক পোড়েল দলের স্কোর বোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান। দুজন মিলে  বেশ কিছু অনবদ্য শট খেলেন। নিজেদের অর্ধশতরান পূরণ করেন মনোজ তিওয়ারি ও অভিষেক পোড়েল। ১০৯ রানের পার্টনারশিপ করেন তারা। ৫৬৪ রানে পড়ে বাংলার পঞ্চম উইকেট। ৬৮ রান করে সুশান্ত মিশ্রার বলে আউট হন অভিষেক পোড়েল। দিনের শেষে ৫৪ রান করে অপরাজিত রয়েছেন মনোজ তিওয়ারি ও ৭ রানে নট আউট হয়েছে শাহবাজ আহমেদ।