সংক্ষিপ্ত
- করোনার কারণে অনিশ্চিত এশিয়া কাপের ভাগ্য
- পিছিয়ে গেল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বৈঠক
- আইসিসি-র বৈঠকের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা
- সেই বৈঠকও হতে চলেছে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে
মহামারী করোনা ভাইরাসের জেরে বিশ্ব জুড়ে বন্ধ সমস্ত স্পোর্টিং ইভেন্ট। ফুটবল হোক বা ক্রিকেট সব ক্ষেত্রেই ছবিটা এক। এবার অনিশ্চিত হয়ে পড়ল এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টও। এর আগে করোনা ভাইরাসের থাবার কারণে সমস্ত দেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সিরিজ স্থগিত হয়ে গিয়েছে। অনিশ্চিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়াার লিগের ভবিষ্যৎও। কিন্তু এশিয়া কাপের জন্য হাতে সময় থাকায়, এসিসি-র পক্ষ থেকে ভাবা হয়ছিল টুর্নামেন্ট হয়তো সঠিক সময়েই হবে। কিন্তু যেভাবে কোভিড ১৯ ভাইরাসের প্রকোপ এশিয়ার ক্রিকেট
আরও পড়ুনঃকরোনা কাড়ল এবার এক ফুটবলারের প্রাণ, শোকস্তব্ধ ফুটবল বিশ্ব
এশিয়া কাপের ভেন্যু নিয়ে চলতি মাসেই বৈঠকে বসার কথা ছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের। পাকিস্তানে এসে ভারত যে এশিয়া কাপে খেলবে না, তা নিশ্চিত। ফলে, এই প্রতিযোগিতা সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে হতে চলেছিল। কিন্তু, কোভিড-১৯ যে ভাবে থাবা বসিয়েছে বিশ্ব জুড়ে, তাতে এই মাসে এসিসি-র বৈঠক বাতিল করতে হয়েছে। আশা করা হচ্ছে যে, ভিডিয়ো লিঙ্কের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের বৈঠকের পাশাপাশি চলবে এশিয়া কাপ নিয়ে আলোচনা। তবে, করোনা পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে এশিয়া কাপ নিয়ে সংশয় বাড়ছে।
আরও পড়ুনঃকরোনা মোকাবিলায় তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের ত্রাণ তহবিলে দান পি ভি সিন্ধুর
আরও পড়ুনঃলকডাউনকে সমর্থন সচিন তেন্ডুলকরের, সোশাল মিডিয়ায় দেশবাসীকে ঘরে থাকার বার্তা
নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে হওয়ার কথা ছিল এশিয়া কাপ। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এর আগে জানিয়ে দিয়েছিলেন, এশিয়া কাপে খেলতে পাকিস্তানে যাবে না ভারত। তবে অন্য যে কোনও ভেন্যুতে এশিয়া কাপ খেলতে আপত্তি নেই ভারতের। অন্য ভেন্যুতে আয়োজক পাকিস্তান হলেও ভারতের সমস্যা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন সৌরভ। পাকিস্তান চাইছে এশিয়া কাপ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হলেও শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে কিছু ম্যাচ যদি দেশের মাটিতে করা যায়। কিন্তু সব পরিকল্পনাই হয়তো বানচাল হতে চলেছে করোনা ভাইরাসের কারণে। সূত্রের খবর টুর্রামেন্টের অনিশ্চয়তার কথা শিকারও করে নিয়েছেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের কর্তারা। তবুও শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথ খোলা রখেছে আইওসি।