সংক্ষিপ্ত

  • গত ১৫ জুলাই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়
  • ১৬ দিন ধরে ভর্তি ছিলেন কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে
  • মাঝে করোনা পরীক্ষা করা হয় সৌরভ সহ গোটা পরিবারের, ফল নেগেটিভ আসে
  • এবার করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত হলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের দাদাও
     

অবশেষে স্বস্তির খবর। করোনা ভাইরাস মারণ প্রকোপ থেকে মুক্তি পেলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। স্বস্তি ফিরল বেহালার বীরেন রায় রোডের গঙ্গোপাধ্যা পরিবারে। গত ১৫ জুলাই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন সিএবি সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। তার দিন কয়েক আগেও একবার স্নেহাশিসের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর রটেছিল। তখন অবশ্য় তা পরিবারের তরফে নস্যাৎ করা হয়। ভুঁয়ো খবর বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন স্নেহাশিস। কিন্তু ১৫ জুলাই তার  করোনা রিপোর্ট সত্যিই পজেটিভ আসে। পরিবারের চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ভর্তি করা হয় কলকাতার এক বেসরকারি হাসাতালে। এতদিন সেখানেই ভর্তি ছিলেন স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়।

আরও পড়ুনঃঅল্প সময়েই করোনা ভাইরাসকে হারালেন বিশ্বজয়ী জাভি

গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারের প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন সৌরভের বৌদি ও তার মা-বাবা। তারপর আক্রান্ত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বাধ্য গোটা পরিবারকে নিয়ে হোম কোয়ারেন্চাইনে যেতে হয়েছিল বিসিসিআই প্রেসিডেন্টকে। করোনা পরীক্ষা করা হয় সৌরভ, ডোনা, সানা সবার। তবে পরিবারের সকলেরই করোনা টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার কারণে হোম কোয়ারেন্টাইনে গিয়েছিলেন সিএবি সবাপতি অভিষেক ডালমিয়াও। তারও কোয়ারেন্টাইন পর্ব শেষ হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।  স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় করোনা মুক্ত হওয়ায় হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়ে গেলো সৌরভের।

আরও পড়ুনঃরাফালের জন্য ভারতীয় বায়ূ সেনাকে অভিনন্দন জানালেন সচিন তেন্ডুলকর

আরও পড়ুনঃ২৪টি গোল্ড মেডেল জয়ী প্লেয়ার বর্তমানে দিনমজুর,সাহায্যের হাত বাড়ালেন ক্রীড়ামন্ত্রী

১৬ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সিএবি সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। হাসপাতালে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীলই ছিল। হাসপাতাল থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগ দিয়েছিলেন সিএবির বৈঠকেও। অবশেষে করোনা টেস্ট নেগেটিভ আসায় চিন্তামুক্ত হন স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। করোনাকে জয় করার পর শুক্রবারই তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে খবর। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় করোনাকে জয় করায় শুধু গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারে নয় স্বস্তি বাংলার ক্রিকেট মহলেও।