সংক্ষিপ্ত

সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে (Syed Mushtaq Ali Trophy ) বাংলা ক্রিকেট দলের (Bengal Cricket Team) দুরন্ত ফর্ম অব্য়াহত। কর্ণাটককে হারিয়ে কোয়ার্টার  ফাইনালে পৌছল কোচ অরুণ লালের (Arun Lal) বাংলা। ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট  করে ১৩৪ রান করে কর্ণাটক। ২ ওভার আগেই ৭ উইকেটে জয় পায় বাংলা। 
 

শেষ বার রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy)  ফাইনালে উঠেও ট্রফি অধরাই থেকে গিয়েছিল বাংলা ক্রিকেট দলের (Bengal Cricket Team)। তারপর কেটে গিয়েছে অনেকটা সময়। মাঝে করোনা অতিমারীর কারণে দীর্ঘ দিন বল গড়ায়নি ২২ গজে। তারপর কোভিড (Covid) পরিস্থিতিতে বায়ো  বাবল সহ নানা নতুন নিয়ম নিয়ে ফেরে ক্রিকেট। গতবার রঞ্জি ট্রফি না হলেও,সৈয়দ মুস্তাক আলি টি২০ ট্রফি (Syed Mushtaq Ali Trophy ) হয়েছিল। এবারও সেই ট্রফি দিয়েই শুরু হয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটের মরসুম। কিন্তু শেষ রঞ্জি ট্রফির রানার্সআপরা যেন একই ছন্দ ধরে রেখেছেন খেলায়। দলে কয়েকটি পরিবর্তন হলেও,চলতি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে দুরন্ত ক্রিকেট খেলছে বাংলা দল (Bengal team)। শক্তিশালী গ্রুপে পড়লেও গ্রুপ চ্য়াম্পিয়ন হয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে পৌছল অরুণ লালের (Arun Lal)ছেলেরা। 

মঙ্গলবার সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলা দলের মুখোমুখি হয়েছিল শক্তিশালী কর্ণাটক। যেই দলে রয়েছে মায়াঙ্ক আগরওয়াল, মনীশ পাণ্ডে, দেবদূত পাড়িকল, করুণ নায়ারদের মত তারকারা।  ম্য়াচে প্রথমে  ব্যাট করে  নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৪ রান করে কর্ণাটক। বাংলার হয়ে দুরন্ত বোলিং করেন মুকেশ কুমার ও প্রদীপ্ত প্রামাণিকরা। ব্য়াট  হাতে এদিন  ব্যর্থ হন মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও দেবদূত পাড়িকল। মায়াঙ্ককরেন ৪ রান, খাতাই খুলতে পারেননি  দাবদূত। মনীশ পাণ্ডে ৩২ ও করুণ নায়ার ৪৪ রানের ইনিংস না খেললে ১৩৪ এ পৌছানোও মুশকিল হতে পারত কর্ণাটকের। বাংলার য়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন মুকেশকুমার ও ২টি উইকেট নেন প্রদীপ্ত প্রামাণিক। একটি করে উইকেট পান  শাহবাজ আহমেদ ও আকাশ দীপ।

 

 

১৩৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলা ক্রিকেট দলের। ৪ রান করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে প্য়াভেলিয়নে ফেরত যান অধিনায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্য়ায়। ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্য়ায় ভালো শুরু করেও বেশিক্ষণ ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি। ১৮ রান করে কারিয়াপ্পার বলে আউট হন তিনি। ২৫ রানে  ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে য়ায় বাংলা। এরপর বাংলার ইনিংসের রাশ ধরেন অভিমূন্য ঈশ্বরন  ও ঋদ্ধিমান সাহা। দুজন মিলে ৬৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে বাংলার ইনিংসকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেন। দলের ৮৮ রানের মাথায় ২৭ রান  করে সুচিথের বলে আউট হন ঋদ্ধিমান সাহা। তবে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে দেন কাইফ আহমেদ ও ভিমূন্য ঈশ্বরন। ২ ওভার আগেই ৭ উইকেটে জয় পায় বাংলা। ৫০ রানের পার্টনারশিপ করেন তারা। নিজের অর্ধশতরান পূরণ  করেন ঈশ্বরন। শেষ পর্যন্ত  ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন কাইফ আহমেদ।


YouTube video player