সংক্ষিপ্ত
দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা থেকে না জানিয়েই দলে রাখা। সিএবি (CAB) কর্তাদের আচরণে বামলা ছাড়র সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)। এবার সমস্যার সমাধানে ময়দানে নামলেন কোচ অরুণ লাল (Arun Lal)।
ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলর সঙ্গে ঋদ্ধিমান সাহার সম্পর্ক যে তিক্ততায় পৌছেছে তার সমাধান করতে এবার আসরে নামলেন অরুণ লাল। বাংলা তথা ভারতীয় দলের তারকা উইকেট রক্ষক ব্য়াটসম্যানের সঙ্গে ফোনে কথা বলে পরিস্থিতি ঠান্ডা করার চেষ্টা করলেন অরুণ লাল। রঞ্জি ট্রফি কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলা দলে মহম্মদ শামিকে দলে রাখার জন্য ভারতীয় পেসারের সঙ্গে আগে ফোনে কথা বলে নেয় সিএবি কর্তৃপক্ষ। তারপর তাকে টিমে রাখা হয়। যদিও শামি খেলতে পারবে কিনা তা ঠিক করবে বিসিসিআই। কারণ ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি রয়েছে। কিন্তু ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ না করেই তাকে দলে রাখা হয়। যেখানে তিনিও ২ মাস ধরে আইপিএল বায়ো বাবলে রয়েছে।
এই বিষয়টি ভলোভাবে নেননি ঋদ্ধিমান সাহা। সূত্রের খবর সিএবি কর্তাদের একের পর এক আচরণে ক্ষুব্ধ তারকা উইকেট রক্ষক ব্য়াটসম্য়ান। ঋদ্ধির ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতীয় টেস্ট উইকেটকিপার সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়াকে ফোন করে বলে দিয়েছেন যে, তিনি আর বাংলার হয়ে খেলতে চান না! বরং তিনি ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ চান সিএবির থেকে। বাংলার হয়ে খেলার আর তাঁর কোনও ইচ্ছে নেই। ঋদ্ধির সঙ্গে সিএবির সংঘাত নতুন নয়। ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ খেলতে চাননি ঋদ্ধিমান সাহা। সেই সময় সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস ঋদ্ধির বাংলার প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন। ১৫ বছর বাংলার হয়ে খেলার পর এমন অপমানে বাংলা ছাড়া নাকি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঋদ্ধি। যদিও প্রকাশ্যে ঋদ্ধি এই বিষয়ে এখনও কিছুই বলেননি। তবে তাঁর স্ত্রী রোমি সাহা বলেন,'ঋদ্ধিমানের সঙ্গে পরের পর যা ঘটেছে, সিএবি যা আচরণ করেছে, তাতে ও অপমানিত। সেই কারণেই বাংলার হয়ে আর খেলতে চায় না।'
আরও পড়ুনঃমরসুম জুড়ে কেন ব্যর্থ কেকেআর, প্লে অফের আগেই বিদায়, জেনে নিন নাইটদের ব্যর্থতার কারণগুলি
আরও পড়ুনঃঝাড়ুদার থেকে আইপিএল তারকা, কেকেআর তারকা রিঙ্কু সিংয়ের গল্প সত্যি অনুপ্রেরণার
এরপর নাকি শোনা যাচ্ছে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার জন্য ময়দানে নামে খোদ বাংলা দলের কোচ অরুণ লাল। মাথা ঠান্ডা রেখে ঋদ্ধিকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, ঋদ্ধিকে নিয়ে বাংলার কর্তার মন্তব্যের এদিন কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন অরুণ লাল। পাশাপাশি ঋদ্ধিকেও মাথা ঠান্ডা রেখে পদক্ষেপের কথা বলেন বাংলার কোচ। তাঁকে অরুণ লাল পরামর্শ দেন, সব অপমানের জবাব ব্যাট হাতে মাঠেই দিতে হবে। অরুণ লাল জানান, ঋদ্ধি বাংলা দলে যোগ দিলে দল আরও শক্তিশালী হবে। রঞ্জি বাদে বাকি টুর্নামেন্টেও বাংলার সম্ভাবনা বাড়বে। ঋদ্ধির মত প্লেয়ার দলে থাকলে দলেরও আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়বে। সূত্রে খবর অরুণ লালের ফোনের পর বরফ কিছুটা গলেছে। এখন কী সিদ্দান্ত নেন ঋদ্ধিমান সাহা সেটাই দেখার।