সংক্ষিপ্ত

বাংলা বনাম চন্ডীগড়ের (Bengal vs Chandigarh) রঞ্জি ট্রফি (Ranji Trophy) ম্য়াচ। প্রথম দিনের শেষে বাংলার স্কোর ৩২৯ রানে ৬ উইকেট। বাংলার হয়ে অনবদ্য সেঞ্চুরি করলেন অধিনায়ক অভিমূন্য ঈশ্বরন (Abhimanyu Easwaran)। ৯৫ রান করলে অনুষ্টুপ মজুমদার (Anustup Majumder)।
 

রঞ্জি ট্রফির  (Ranji Trophy)শুরুটা দুরন্ত করেছে বাংলা ক্রিকেট দল। প্রথম দুই ম্য়াচে বরোদা ও হায়দরাবাদকে হারিয়ে নক আউটের টিকিট কার্যত নিশ্চিৎ করে ফেলেছে অরুণ লালের দল। তবে তৃতীয় ম্য়াচে চন্ডীগড়ের (Bengal vs Chandigarh) বিরুদ্ধে যে জয়েক লক্ষ্য নিয়ে নামবেন  সেই কথা দ্বিতীয় ম্য়াচ জয়ের পরই জানিয়ে দিয়েছিলেন অধিনায়ক অভিমূন্য ঈশ্বরণ থেকে শুরু করে ইশান পোড়েল, আকাশ দীপরা। কথা মতই তৃতীয় ম্য়াচের প্রথম দিনে একাধিপত্ব বজায় রেখে ক্রিকেট খেলল বাংলা। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে অধিনায়কোচিত সেঞ্চুরি করলেন  অভিমন্যু ঈশ্বরণ  (Abhimanyu Easwaran)। ৯৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেললেন অনুষ্টুপ মজুমদারও (Anustup Majumder)। প্রথম দিনের শেষে বাংলা দলের স্কোর ৩২৯ রানে ৬ উইকেট। সেট হয়ে ক্রিজে রয়েছেন মনোজ তিওয়ারি ও সায়ন মণ্ডল। ফলে প্রথম দিনের শেষে চালকের আসনে বাংলা দল সেটা বলাই যায়। 

 

 

বৃহস্পতিবার টসে হেরে যান বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। বল করার সিদ্ধান্ত নেয় চন্ডীগড়। শুরুটা ভালো হয়নি বাংলার। খাতা না খুলেই প্য়াভেলিয়নে ফেরত যান ওপেনার সুদীপ ঘরামি। জগজিৎ সিংয়ের বলে বোল্ড হন তিনি। বড় রান করতে পারেননি ঋত্ত্বিক চৌধুরীও। ১২ রান করে জসকরণ সিংয়ের বলে বোল্ড হন তিনি। ৪২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলা দল। তারপর ইনিংসের রাশ ধরেন অধিনায়ক অভিমূন্য ঈশ্বরণ ও অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার। প্রথমে একটু ধীরগতিতে খেললেও সেট হতেই নিজেদের স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলা শুরু করেন দুজনে।বেশ কিছু চোখ ধাঁধানো শটও খেলেন। নিজেদে অরর্ধশতরান পূরণ করেন ও শতরানের পার্টনারশিপ করেন। নিজেদের ইনিংস আরও এগিয়ে নিয়ে দলকে ভালো জায়গায় পৌছে দেয় অভিমূন্য ও অনুষ্টুপ জুটি। নিজের শতরানও পূরণ করেন বাংলার অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত ১৯৩ রানের পার্টনারশিপ করার পর দলের ২৩৫ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে বাংলার। ১১৪ রান করে জগজিৎ সিংয়ের বলে আউট হন অভিমূন্য ইশ্বরন।

পার্টনারশিপপ ভাঙার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে দাঁড়াতে পারেনননি অনুষ্টুপ। মাত্র ৫ রানের জন্য নিজের শতরান হাতছাড়া করেন তিনি। ২৪৬ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে বাংলার। ৯৫ রান করে গৌরব গম্ভীরের শিকার হন অনুষ্টুপ।  এদিন ব্য়াট হাতে খাতাই খুলতে পারেননি পরপর দুই ম্য়াচে অর্ধশতরানকারী অভিষেক পোড়েল। তিনিও আউট হন জগজিৎ সিংয়ের বলে। পরপর ২ ম্য়াচে ম্যান অফ দ্য ম্য়াচ হওয়ার পর তৃতীয় ম্য়াচে ব্য়াট হাতে রান পাননি শাহবাজ আহমেদ। ৬ রান করে গৌরব গম্ভীরের বলে আউট হন তিনি। ২৭৮ রানে ৬ উইকেট পরে। এরপর দলের রাশ ধরেন বাংলার মন্ত্রী-ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি ও সায়ন মণ্ডল। দুজনে মিলে ৬১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দিনের শেষ পর্যন্ত। মনোজ তিওয়ারি অপরাজিত রয়েছেন ৪২ রানে ও সায়ন মণ্ডল অপরাজিত ৩৩ রানে। চতুর্থ দিনে আরও বড় স্কোর প্রতিপক্ষকে চাপে রাখাই লক্ষ্য বাংলা টিম ম্য়ানেজমেন্টের।