সংক্ষিপ্ত

  • বিশ্ব জুড়ে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করোনা ভাইরাস
  • স্বেচ্ছায় আইসোলেশনে যাচ্ছেন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা
  • এবার আইসোলেশনে গেলেন শাকিব আল হাসান
  • সকলকে সুস্থ ও সচেতন থাকার পরামর্শ শাকিবের
     

বিশ্বজুড়ে থাবা বসিয়েছে করোনা ভাইরাস। ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। ক্রীড়া বিশ্বেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে এই মারণ ভাইরাসের প্রভাবে। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে একের পর এক সেলফ আইসোলেশনে যাচ্ছেন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা। এবার সেলফ আইসোলেশনে গেলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্য অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আমেরিকায় আইসোলেশন থেকে সোশাল সাইটে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সাকিব। সেখানে সকলকে সচেতন, সুস্থ ও পরিষ্কার থাকার বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশি অল রাউন্ডার।

আরও পড়ুনঃকরোনা মোকাবিলায় দেশবাসীকে জনতা কার্ফু চালিয়ে যাওয়ার আবেদন অশ্বিনের

আরও পড়ুনঃকঠিন পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে সচেতনতার বার্তা ইরফান পাঠানের

সম্প্রতি আমেরিকায় গিয়েছেন সাকিব আল হাসান। আমেরিকা পৌছেই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ১৪ দিনের সেলফ আইসোলেশনে যান সাকিব। সুরক্ষার কথা ভেবে নিজের মেয়ে ও স্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করছেন না তিনি। সোশাল মিডিয়ায় নিজের একটি অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন সাকিব আল হাসান। ভিডিওতে শাকিব বলেন,  "আমি খানিক আগেই আমেরিকা এসে পৌঁছলাম। বিমান থেকে নামার পর একটু হলেও ভয় করছিল। তাও চেষ্টা করেছি কীভাবে নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আর জীবাণুমুক্ত রাখা যায়"।

শাকিব আরও জানান, “আমেরিকায় পা রেখেই সোজা একটি হোটেলে গিয়ে উঠি। হোটেল কর্তৃপক্ষে জানাই আমি এখানে থাকব কিছুদিন। যেহেতু বিমানে এসেছি, একটু হলেও ঝুঁকি আছে আমার। সেই জন্য নিজেকে আইসোলেশনে রেখেছি।”ভিডিওটিতে স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে দেখা  না করার বিষয়ে শাকিব জাানান, "এখানে এসেও স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে দেখা নাা করাটা খুবই কষ্টকর। তারপরও আমার মনে হয় এই সামান্য ধৈর্য দেখাতে পারলে অনেক দূর এগোতে পারব।” একিসঙ্গে সকলকে সচেতন নাগরিক হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন শাকিব। তার মতে, অনেকেই বিদেশ থেকে ফিরে কোয়ারেন্টাইনে না গিয়ে বাইরে বেড়িয়ে পড়েছেন। ফলে তাদের থেকে ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার পরামর্শ বাড়ছে। শুধু  সাধারণ মানুষই নয়, অনেক সেলিব্রেটিরাও নিয়ম ভাঙছেন। যা খুবই বিপদজনক। এই পরিস্থিতিতে সকলকে এক হয়ে লড়াইয়ের বার্তাও দিয়েছেন শাকিব।

আরও পড়ুনঃ'কালোবাজারিরা দেশের আসল করোনা ভাইরাস', সোশাল মিডিয়ায় সরব রুবেল হোসেন