সংক্ষিপ্ত
- এবার ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ
- সরব হলেন প্রাক্তন ভারতীয় বাঁ-হাতি পেসার ইরফান পাঠান
- ঘরোয়া ক্রিকেটে দক্ষিণের ক্রিকেটাররা বর্ণবৈষম্যের শিকার হন
- বিষয়টি বন্ধ করার জন্য শিক্ষার প্রয়োজন বলে দাবি ইরফানের
আমেরিকায় পুলিসি হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার প্রতিবাদে আমেরিকা জুড়ে চলছে তীব্র আন্দোলন। শুধু আমেরিকাই নয়, আন্দোলনের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব জুড়ে। সরব হয়েছে ক্রীড়া বিশ্বও। ক্রিকেটেও বর্ণ বিদ্বেষ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্যারিবিয়ান তারকা ক্রিস গেইল। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে তাকেও এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটেও বর্ণ বৈষম্যের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন অপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্লেয়ার ড্যারেন সামি। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলার সময় তাকেও কালু বলে ডাকা হত বলে অভিযোগ তার। প্রথমে তিনি কালু শব্দের মানে জানতেন না, কিন্তু সম্প্রতি কালু শব্দের মানে জেনে বেজায় চটে যান সামি। এবার ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেটেও চলে বর্ণবৈষম্যমূলক আচরণ। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন প্রাক্তন ভারতী পেসার ইরফান পাঠান।
আরও পড়ুনঃ'সৌরভকে হুমকি সচিনের,দিয়েছিলেন কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারী'
এক সাক্ষাৎকারে ইরফান পাঠান জানান,'ঘরোয়া ক্রিকেটও গায়ের রংয়ের উর্ধ্বে উঠতে পারেনি। সেখানেও দক্ষিণ ভারতের ক্রিকেটারদের গায়ের রং নিয়ে খোটা দেওয়া হয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে বর্ণবৈষম্যের মুখে অনেককে পড়তে দেখেছি। দক্ষিণী ক্রিকেটাররা উত্তর বা পশ্চিম ভারতে খেলতে গিয়ে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন। কারও নাম বলব না। তবে ভিড়ের মধ্যে নজরকাড়ার জন্য কেউ কেউ আপত্তিকর মন্তব্য করত। যা কোনও কোনও সময় মাত্রা ছাড়িয়ে যেত। এই প্রবণতা বন্ধ করার জন্য শিক্ষার প্রয়োজন।' একইসঙ্গে এই ধরনের ঘটনা শীঘ্রই বন্ধ করার পক্ষেও দাবি জানান, ইরফান পাঠান। পাশাপাশি ড্যারেন সামির অভিযোগের ভিত্তিতে পাছান বলেন,'আইপিএল হায়দরবাদের দলে থাকাকালীন এমন কোনও ঘটনা ঘটেছিল বলে আমার জানা নেই।'
আরও পড়ুনঃসচিনকে আউট করে লাগাতার খুনের হুমকি পেয়েছিলেন এই বোলার
আরও পড়ুনঃবিসিসিআইয়ের পাশে মাইকেল হোল্ডিং,বিশ্বকাপ না হলে আইপিএল করার পক্ষে সওয়াল
পাঠানের আগে আরও প্রাক্তন ভারতীয় পেস বোলার ডোড্ডা গণেশও বর্ণ বৈষম্য নিয়ে সরব হয়েছিলেন। ডোড্ডা গণেশ জানিয়েছিলেন,,'খেলার সময় আমাকে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হতো। কালো হওয়ায় সতীর্থদের কাছেই হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে । শুধু একজন কিংবদন্তী ভারতীয় তারকা সেসব ঘটনার সাক্ষী আছেন। তবে সেসব বিদ্বেষমূলক মন্তব্য আমাকে আরও শক্ত করেছে। আর সেজন্যই আমি জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পেরেছি। কর্ণাটকের হয়ে ১০০ ম্যাচ খেলেছি। সেসময় আমি বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্যগুলির গুরুত্ব বুঝতাম না। প্রতিবাদ করার কোনও জায়গাও ছিল না। আশা করব ভবিষ্যতে আর কোনও ভারতীয়কে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।' প্রথমে ডোড্ডা গণেশ, তারপর ড্যারেন সামি, এবার ইরফান পাঠান। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, একের পর এক ক্রিকেটার যেভাবে ভারতীয় ক্রিকেটে বর্ণ বৈষম্যের অভিযোগ করছে তাতে বিসিসিআইয়ের সময় এসেছে বিষয়টি কড়াভাবে দেখা ও সুষ্ঠু সমাধান করা।