সংক্ষিপ্ত
আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এ প্রথম মরসুমেই হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pndya)নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গুজরাট টাইটানসন (Gujarat Titans)। একতরফা ক্রিকেট খেলে ট্রফি ঘরে তোলে গুজরাট। ট্রফি জয়ের পর অধিনায়ক স্পেশাল উপহার দিল ফ্র্যাঞ্চাইজি।
আইপিএল ২০২২ জন্ম দিয়েছে নতুন হার্দিক পান্ডিয়ার। যে শুধু ব্যাটিং-বোলিংয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন এমনটা নয়, অধিনায়ক হিসেবেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন গুজরাট টাইটানস অধিনায়ক। এবারের আইপিএল শুরুর আগে চ্যালেঞ্জটা মোটেও সহজ ছিল না হার্দিকের কাছে। জাতীয় দল থেকে চোটের কারণে বাদ পড়া থেকে আইপিএলে তার পুরোনো দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স রিটেন না করা। প্রকাশ্যে কিছু না বললেও মুম্বই তাকে রিটেন না করায় বিষয়টি মন থেকে মেনে নিতে পারেননি। সেখান থেকেই নতুন চ্যালেঞ্জটা নিয়ে নেন হার্দিক পান্ডিয়া। নতুন দল গুজরাট টাইটানস তার উপর ভরসা রেখে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও হার্দিককে অধিনায়ক করা নিয়ে কম প্রশ্ন ওঠেনি। তবে সবকিছুর জবাব মাঠইেই দিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। আইপিএল ২০২২-এর শুরু থেকেই গুজরাট টাইটানস হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বে দুরন্ত ক্রিকেট খেলে। লিগ টপার হয়ে প্ল অফে যাওয়ার পাশাপাশি নক আউট পর্বে একতরফা ক্রিকেট খেলে চ্যা্ম্পিয়ন হয় গুজরাট টাইটানস। প্রথম মরসুমেই দলকে চ্যাম্পিয়ন করা ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে স্পেশাল উপহার দেওয়া হল হার্দিক পান্ডিয়াকে।
আইপিএল ২০২২-এ শুধু অধিনায়কত্বই নয়, ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে সকলের নজর কেড়ে নিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। মেগা ফাইনালে দলের জয়ে বল হাচে রাজস্থানের প্রধান তিনটি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতেও খেলেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। ফাইনালে ম্যান অব দ্য়া ম্য়াচও নির্বাচিত হন হার্দিক। অভিষেক মরশুমেই হার্দিকের নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয় গুজরাট। ফ্রাঞ্চাইজির ইতিহাসে এতবড় সাফল্য এনে দেওয়ার পরবর্তীতে হার্দিককে দেওয়া হল এক স্পেশাল উপহার। গুজরাট টাইটানস লেখা একটি লকেট উপহার দেওয়া হয় তাকে। গুজরাট টাইটানসের তরফে হার্দিককে এই স্পেশাল উপহার দেওয়া হল। সদ্য শেষ হওয়া মরশুমে হার্দিক ১৫ ম্যাচে ৪৮৭ রান করেন। তার গড় ছিল ৪৪.২৭। নিজের ইনস্টা স্টোরিতে সেই ছবিও শেয়ার করেন হার্দিক পান্ডিয়া। যা সকলেই খুব পছন্দ করেন। ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফ থেকে এমন উপহার পেয়ে খুশি গুজরাট টাইটানস অধিনায়ক।
প্রসঙ্গত, আইপিএল ২০২২ ফাইনাল ম্য়াচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান করল রাজস্থান রয়্যালস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন জস বাটলার। এছাড়া ২২ রান করেন যশশ্বী জয়সওয়াল। এছাড়া কোনও রাজস্থান ব্যাটসম্যান ২০ রানের গণ্ডী টপকাতে পারেননি। গুজরাটের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। রান তাড়া করতে নেমে ১১ বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় গুজরাট টাইটানস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন শুবমান গিল। ৩৪ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া ও ৩২ রান করেন ডেভিড মিলার। ফাইনাল জয়ের উৎসবে মাতে গোটা গুজরাট।
আরও পড়ুনঃধনশ্রীর আগে চাহলের জীবনে ছিল এক অভিনেত্রী, রটেছিল বিয়ের খবর, জানুন সেই কাহিনি
আরও পড়ুনঃলক্ষ্য ভারতের মাটিতে টিম ইন্ডিয়াকে হারানো, প্রোটিয়া ক্রিকেটারের ভরসা এমএস ধোনি