সংক্ষিপ্ত

  • ১৯৯২ সালের জন্টি রোডসের করা রান আউট দেখে অবাক হয়েছিলাম
  • সেটা দেখার পর থেকেই ক্রিকেটার হওয়ার ইচ্ছে জন্মেছিল আমার মধ্যে
  • ক্রিকেট জীবনে কোনও দিনও ওরম রান আউট করতে পারেনি ঠিকই
  • কিন্তু জন্টি রোডসকে নিজের আইডল বলে জানালেন এবি ডিভিলিয়ার্স

ব্য়াটসম্যান ও বোলারদের খেলায় ফিল্ডিংও যে কতটা গুরপত্বপূর্ণ তা ক্রিকেট বিশ্বকে বুঝিয়েছিলেন জন্টি রোডস। একটা ভাল ক্যাচ বা একটা ভাল রান আউট গোটা ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ জায়দায় ফিল্ডিং করে যদি ২৫ থেকে ৩০ রান বাঁচানো যায় তার গুরুত্ব যে ব্যাটসম্য়ান বা বোলারের থেকে কিছু কম নয়, তা আধুনিক ক্রিকেটে সর্বজন মানেন। কিন্তু এই ধারণা যে  ক্রিকেটের রক্তে নিয়ে এসেছিলেন তার নাম জন্টি রোডস। ১৯৯২ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাজপাখির মতো শরীরকে হাওয়ায় ছুড়ে দিয়ে ইনজামামকে যে স্বপ্নের রান আউট করেছিলেন রোডস, তা এখনও মানুষের মুখে মুখে। আর জন্টির সেই রান আউট দেখেই ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ জন্মেছিল এক ক্ষুদের। পরবর্তীতে যে নিজে বিশ্বের অন্যতম বিধ্বংসী  ব্যাটসম্যান হয়ে উঠেছে। সঙ্গে দুরন্ত ফিল্ডার ও কিপার। তার নাম দক্ষিণ আফ্রিকা তথা বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা প্লেয়ার এবিডি ডিভিলিয়ার্স। জন্টি রোডসকে দেখেই যে তার ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ জন্মেছিল তা নিজেই স্বীকার করেছেন এবিডি।

আরও পড়ুনঃবিকিনিতে অনুষ্কা শর্মার হট ফটো শুট দেখে ক্লিন বোল্ড বিরাট কোহলি

ব্যাট হাতে ডি ভিলিয়ার্স অবিশ্বাস্য সব ঘটনা ঘটিয়েছেন। ফিল্ডিংয়ের সময়ে এক হাতে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছেন, অবিশ্বাস্য সব রান আউট করেছেন। যাঁর প্রভাব তাঁর জীবনে অনেকটাই, সেই জন্টি রোডসকে প্রথমবার সামনে থেকে দেখে বিহ্বল হয়ে গিয়েছিলেন এবি। ১৯৯২ বিশ্বকাপের সময়ে এবিডি-র বয়স মাত্র আট। আর সেই বয়সে জন্টির বিখ্যাত রান আউট দেখার পরে তা অনুকরণ করার চেষ্টা করতেন ডি ভিলিয়ার্স। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলছেন,'ছোটবেলা থেকেই জন্টি রোডসের প্রভাব আমার উপরে পড়েছিল। ১৯৯২ সালে আমার বয়স আট। টিভিতে লাইভ দেখেছিলাম সেই রান আউট। তার পর থেকে সেই রান আউট নিয়মিত প্র্যাকটিস করতাম। ঘাসের মাঠে প্র্যাকটিস করতাম। শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে গিয়ে রক্ত ঝরত। কিন্তু অনুশীলন থামাইনি। আমার জীবনের আক্ষেপ ও রকম রান আউট আমি করতে পারিনি। কিন্তু ওই রান আউটটা মাঠের ভিতরে আমাকে এখনও স্পেশাল কিছু  করার প্রেরণা জোগায়। জন্টিও তো সেরকমই খেলত।  আমিও সে ভাবেই খেলার চেষ্টা করে গিয়েছি।' জন্টি রোডসের প্রতি তার শ্রদ্ধা ও ভালবাসার কথা বার বার একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন এবি। ৯২-এর সেই অবিশ্বাস্য রান না দেখলে হয়তো তার ক্রিকেটার হয়ে ওঠাই হত না বলে জানিয়েছেন এবিডি ডিভিলিয়ার্স।

আরও পড়ুনঃলাইসেন্সিংয়ের জন্য ইষ্টবেঙ্গলকে অতিরিক্ত ৭ দিন সময় দিল ফেডারেশন

আরও পড়ুনঃএটিকে ও মোহনবাগানের এক হওয়ার সিদ্ধান্তে খুশি নন লুইস গার্সিয়া