সংক্ষিপ্ত

  • লাইসেন্সিংয়ের পরীক্ষায় বসার জন্য ইষ্টবেঙ্গলের হাতে সময় ছিল ১০
  • ফেডারেশনের কাছে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করে লাল-হলুদ কর্তৃপক্ষ
  • ইষ্টবেঙ্গলের আবেদনে সাড়া দিয়ে ৭ বেশি সময় দিয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা
  • অতিরিক্ত সাত দিন সময় পেয়ে কিছুটা স্বস্তিতে ইষ্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তৃপক্ষ
     

১০ দিন সময় দিয়ে ইষ্টবেঙ্গল সহ আইএসএল ও আইলিগের অন্যান্য ক্লাবগুলিকে ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের পরীক্ষার বসার জন্য ইমেল করেছিল সর্বভারতীয় ভারতীয় ফুটবল সংস্থা। বলা হয়েছিল এই ১০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় নথিপত্র দিয়ে ফর্ম ফিলআপ করে পাঠাতে হবে ফেডারেশনকে। তারপরই আইএসলের জন্য লাইসেন্সিংয়ের পরীক্ষায় বসতে পারবে যে কোনও ক্লাব। ফেডারেশনের এই ফর্মান পেয়ে তো মাথায় আকাশ ভেঙে পড় লাল হলুদ কর্তাদের। কারণ  গত দু’মরশুমে ক্লাবের ইনভেস্টর কোয়েসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হলেও স্পোর্টিং রাইটস এবং নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট এখনও হাতে পায়নি ইস্টবেঙ্গল। যার ফলে ক্লাব লাইসেন্সিং’য়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে ইষ্টবেঙ্গল। যদিও কোয়েসের সঙ্গেও এই বিষয়ে কথা চালাচ্ছে লাল-হলুদ কর্তারা।

আরও পড়ুনঃকরোনা সংক্রান্ত নিয়ম ভাঙার জের,ম্য়া শুরু কিছু সময় আগে বাদ পড়লেন আর্চার

কিন্তু মাত্র ১০ দিন হাতে সময় নিয়ে এত দীর্ঘ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব নয়, তা ভালই বুঝতে পারছিলেন নান ইষ্টবেঙ্গল কর্তারা। ফলে তড়িঘড়ি স্টবেঙ্গলের সেই ই-মেলের পরিপ্রেক্ষিতে ইস্টবেঙ্গলকে বাড়তি সাতদিন সময় দিয়েছে ফেডারেশন। গোটা বিষয়টি প্রক্রিয়াকরণের জন্য কলকাতা জায়ান্টদের চলতি মাসের পুরো সময়টা দিয়েছে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন। ইস্টবেঙ্গল কর্তারা নিশ্চিত ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে কোয়েসের থেকে তাঁরা নিশ্চিতভাবে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট এবং স্পোর্টিং রাইটস ফিরে পাবে। শতবর্ষে পা দেওয়া ইস্টবেঙ্গলের ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ফেডারেশন। 

আরও পড়ুনঃপ্রকাশ্যে বিসিসিআইয়ের আইপিএল ব্লু প্রিন্ট, সম্ভবত আরবেই বসছে কোটিপতি লিগের আসর

আরও পড়ুনঃধোনির প্রশংশায় গ্যারি কার্স্টেন, মন ছুঁয়ে যাওয়া এক ঘটনাও জানালেন প্রাক্তন ভারতীয় কোচ

সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন ইষ্টবেঙ্গল ক্লাবকে বাড়তি সময় দেওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পেলেও, রাত দিন এক করে এখন দৌড়তে হচ্ছে লাল-হলুদ কর্মকর্তাদের। ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের কথায়, কোয়েস ইস্টবেঙ্গল কোম্পানিতে ইস্টবেঙ্গলের শেয়ার কোয়েসের নামে ট্রান্সফারের কাজ মিটে গেলেই আর কোনও সমস্যা থাকবে না। পাশাপাশি কোয়েসের থেকে স্পোর্টিং রাইটস এবং নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট ফিরে পেলেই নয়া ইনভেস্টরের নাম ঘোষণা করা হবে বলেও কর্তারা আশ্বস্ত করছেন সমর্থকদের। কিন্তু যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে আইএসএল খেলার মতো পরিকাঠামো কী গড়ে তুলতে পারবে ইষ্টবেঙ্গল তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। একই সঙ্গে নয়া ইনভেস্টরও এত কম সময়ের মধ্যে কোথা থেকে আসবে তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন ক্লাবের সমর্থকরা। ফলে সবকিছু ঠিকঠাক না মেটা পর্যন্ত আদৌ ইষ্টবেঙ্গল এই বছর আইএসএল কেলতে পারবে কিনা তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন লাল-হলুদ ,সমর্থকরা।