সংক্ষিপ্ত
- বল পালিশে থুতুর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কুম্বলের নেতৃত্বধীন কমিটি
- ঘামের ব্যবহারে কোনও নিষেধাজ্ঞা দারি করেনি আইসিসির ক্রিকেট কমিটি
- ম্যাচ পরিতালনার ক্ষেত্রেও দুজন স্থানীয় আম্পায়ার রাখার সুপারিশ রিপোর্টে
- একইসঙ্গে দুটির বদলে তিনটি ডিএরএস দেওয়ার কথাও বলেছে কুম্বলে কমিটি
থুতু বা ঘাম দিয়ে বল পালিশ চলে আসছে ক্রিকেটের আদি লগ্ন থেকে। কিন্তু করোনা ভাইরাস মহামারী সামনে আসার পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যে করোনা পরবর্তী সময়ে ফের যখন ক্রিকেট শুরু হবে তখন বল পালিশের ক্ষেত্রে থুতু ব্যহার করা যাবে কিনা। যেহুতু করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর অন্যতম মাধ্যম ড্রপলেট, তাই থুতুর ব্যবহার বন্ধ করার দাবি তোলা হয় বিভিন্ন পক্ষ থেকে। কিন্তু একাধিক বর্তমান তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেন, বল পালিশ না করলে, পেসাররা সুইং পাবেন না। কমে যাবে ব্যাটসম্যান ও বোলারের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। অনেকে আবার বল পালিশের থুতুর ব্যাবহার বন্ধ করা হলে কৃত্রিম কোনও পদার্থ দিয়ে বল পালিশের পক্ষে সওয়াল করেন। যাকে ক্রিকেটীয় ভাষায় বলা হয় বল বিকৃতি। এই বিষয়টি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অনিল কুম্বলের নেতৃত্বে একটি ক্রিকেট কমিটি গঠন করে আইসিসি। সেই ক্রিকেট কমিটিই এবার, থুতু দিয়ে বল পালিশ পদ্ধতিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব দিল। কিন্তু পালিশের ক্ষেত্রে ঘামের ব্যবহারে এখনও কোনও নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। বলে কোনও কৃত্রিম পদার্থ ব্যবহার, যা বল বিকৃতি বলেই বিবেচিত হয়, তার অনুমতি দেয়নি ক্রিকেট কমিটি।
আরও পড়ুনঃকোহলিকে দলে সুযোগ দিতে ঘুষ চেয়েছিলেন এক আধিকারিক, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বিরাটের
বিবৃতে জারি করে কুম্বলে জানান, আমরা লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলেছি। তাই ক্রিকেট চলার পাশাপাশি কী ভাবে সচেতনতা বজায় রাখা যায়, সে বিষয়ে কিছু প্রস্তাব দিচ্ছে আইসসি-র ক্রিকেট কমিটি। আইসিসি-র মেডিক্যাল অ্যাডভাইসরি কমিটির প্রধান ডা. পিটার হারবার্টের সঙ্গে আলোচনা করে জেনেছি, থুতুর ব্যবহারে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা খুব বেশি। তাই আইসিসি কমিটির প্রস্তাব, বল পালিশের ক্ষেত্রে থুতুর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি হোক। কিন্তু ঘামের ব্যবহারে কোনও সমস্যা নেই। কারণ, ঘাম থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’’ এটাই দেখার, আইসিসি এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুনঃআরও একধাপ এগোল লা লিগা, শুরু হল দলীয় অনুশীলন
আরও পড়ুনঃআজ থেকে অনুশীলনে নামছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলি,জারি একাধিক নিয়ম
নীয় আম্পায়ারের পরিচালনায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ করার পরামর্শও দেওয়া হয় এ দিন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এতদিন টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা করতেন নিরপেক্ষ আম্পায়াররা। ওয়ান ডে ম্যাচে একজন ফিল্ড আম্পায়ার থাকতেন আয়োজক দেশের। টি-২০ ক্রিকেট পরিচালনা করতে দেখা যেত দুই স্থানীয় আম্পায়ারকে। করোনা মহামারির জেরে আন্তর্জাতিক উড়ান ব্যবস্থা চূড়ান্ত অনিশ্চিত হওয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন ভিত্তিতে স্থানীয় আম্পায়ারদের সব ফর্ম্যাটেই ম্যাচ পরিচালনা করার দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে ক্রিকেট কমিটির তরফে। যেহেতু এলিট প্যানেলের আম্পায়াররা সব ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন না, তাই সব ফর্ম্যাটেই অন্তর্বর্তীকালীন ভিত্তিতে প্রতি ইনিংসে একটি করে বাড়তি ডিআরএস নেওয়ার সুযোগ পাবে দলগুলি। ক্রিকেট কমিটির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে জুনের শুরুতেই আইসিসির পরবর্তী চিফ এক্সিকিউটিভস কমিটির সভায়। সেখানেই সিলমোহর দেওয়া হবে অন্তর্বর্তীকালীন এই সমস্ত নিয়মে। ফলে কুম্বলে কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে বল পালিশের ক্রিকেটের ঐতিহাসিক পদ্ধতিতে যে সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা পরা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।