ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার (Ind vs SA) প্রথম টি২০ (T20) ম্য়াচ। টস হেরে প্রথমে ব্য়াট করে ২১১ রান করল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করলেন ইশান কিশান (Ishan Kishan)। প্রোটিয়াদের টার্গেট ২১২।  রান তাড়া করতে নেমে ৫ বল আগেই জয় পায় প্রোটিয়ারা। ৭৫ রান করেন ভ্যান ডার ডুসেন ও ৬৪ রান করেন ডেভিড মিলার। 

দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪২৩ রান ও ২৮টি ছক্কা। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে হাইস্কোরিং টি২০ ম্য়াচে ভারতকে ৭ উইকেট হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২১২ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ডেভিড মিলার ও ভ্যান ডার ডুসেনের বিধ্বংসী ব্য়াটিংয়ে ভর করে ৫ বল বাকি থাকতেই ম্য়াচ জিতে নেয় প্রোটিয়ারা। বোলিং বিভাগের ব্যর্থতার কারণে ৫ ম্য়াচের সিরিজ হার দিয়ে শুরু করল টিম ইন্ডিয়া। প্রথমে ব্য়াট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে হারিয়ে ২১১ রান করে ভারতীয় দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন ইশান কিশান। এছাড়া ৩৬ রান করেন শ্রেয়স আইয়র, ৩১ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া, ২৯ রান করেন ঋষভ পন্থ, ২৩ রান করেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। রান তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯ ওভার ১ বলে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ও ৬৪ রান করেন ডেভিড মিলার। তাদের ১৩১ রানের পার্টনারশিপের সৌজন্য়ে সহজ জয় পায় প্রোটিয়ারা।

Scroll to load tweet…

টস হেরে ব্য়াট করতে নেমে শুরুটা ভালো করে দুই ভারতীয় ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ইশান কিশান। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করে ফেলেন তারা। অবশেষে দলের ৫৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ে ভারতের। ২৩ রান করে ওয়েন পার্নেলের বলে আউট হন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। এরপর ক্রিজে আসেন শ্রেয়স আইয়র। তিনিও এসে একের পর এক আক্রমণাত্মক শট খেলতে শুরু করেন। অপরদিকে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন ইশান কিশানও। ইশান-শ্রেয়স জুটি ৮০ রান যোগ করার পর দলের ১৩৭ রানের মাথায় ৭৬ রান করে কেশব মহারাজের বলে আউট হন ইশান কিশান। এরপর কয়েকটি ওভার ভালো বোলিং করেন ওয়েন পার্নেল ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। যার ফলে চাপ বাড়তে থাকে শ্রেয়স ও পন্থের উপর। এরপর বিগ হিট করতে গিয়ে প্রিটোরিয়াসের বলে ব্যক্তিগত ৩৬ আউট হন শ্রেয়স আইয়র। ১৫৬ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট। এরপর নামেন ভারতীয় দলে কামব্য়াক করা হার্দিক পান্ডিয়া। হার্দিক ও পন্থ দুজন মিলেই মারকাটারি ব্য়াটিং শুরু করেন। বেশ কিছু চার-ছয় মারেন দুই তারকা। দুজন মিলে দলের স্কোর দুশো পার নিয়ে যান। শেষ ওভারে বিগ করতে গিয়ে নকিয়ার বলে আউট ঋষভ পন্থ। ২৯ রান করেন তিনি। ২০২ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে ভারতের। শেষ পর্যন্ত ২১১ করে টিম ইন্ডিয়া।

রান তাড়া করতে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করেন কুইন্টন ডিকক ও টেম্বা বাভুমা। কিন্তু বড় পার্টনারশিপ করতে পারেননি তারা। ২২ রানে প্রথম উইকেট পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার। ১০ রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে আউট হন বাভুমা। এরপর চমক দিয়ে উপে ব্য়াট করতে পাঠানো হয় ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। এসেই ঝোড়ো ব্য়াটিং করেন তিনি। একের পর এক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি মারেন তিনি। পাওয়ার প্লে শেষের আগেই দলের স্কোর ৫০ পার করে দিন প্রিটোরিয়াস। ৬১ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার। ২৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে হার্শল প্য়াটেলের বলে আউট হন প্রিটোরিয়াস। অপরদিকে ডিকক ধরে রাখলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। দলের ৮২ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২২ রান করে অক্ষর প্য়াটেলের বলে আউট হন ডিকক। এরপর ম্যাচের রাশ পুরোপুরি ধরে নেন ডেভিড মিলার ও রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। বিদ্বংসী ব্য়াটিং করেন তারা। কোনও ভারতীয় বোলারই তাদের সমস্যায় ফেলতে পারেনি। একের পর এক বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি মারতে থাকেন তারা। নিজের অর্ধশতরনা পূরণ করার পাশাপাশি শতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন ডুসেন ও মিলার জুটি। শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভার ১ বলে জয় পেয়ে যায় প্রোটিয়ারা। ৪৬ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ডুসেন ও ৩১ বলে ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকেন মিলার। এই জয়ের ফলে ৫ ম্য়াচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।

আরও পড়ুনঃচতুর্থ দিনের শেষে ৫৫১ রানে এগিয়া বাংলা, জেনে নিন সেমিতে মনোজ-অনুষ্টুপদের প্রতিপক্ষ কোন দল

আরও পড়ুনঃকেন এখনও বিয়ে করেননি মিতালি রাজ, রয়েছে কী কোনও প্রেম, জানিয়েছিলেন ক্রিকেট তারকা