ইডেনে ‘বিরাট’ ঝলক, ইশান্তের আগুনে ইনিংসে হার বাঁচানোর লড়াই বাংলাদেশের

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ মাত্র ৩০ ওভার ক্রিজে টিকতে পেরেছিল। ১০৬ রানে টাইগারদের গুটিয়ে দিয়ে ব্যাটিং শুরু করেছিল ভারত। প্রথম দিনই পূজারা-কোহলি ও রাহানের ব্যাটে ভর করে নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছিল ভারত। দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশনটা শুধুই কোহলির। রাহানেকে সঙ্গে নিয়ে টেস্ট কেরিয়ারের ২৭ তম শতরানটা করলেন ভারত অধিনায়ক।  রাহানের একটা অর্ধশতরান করলেন। বাংলাদেশেরে বোলাররার ভারতীয় ব্যাটিংয়ের ওপর কোনও চাপ তৈরি করতে পারছিলেন না। তবে খেলাটা কিছুটা বদলে গেল দ্বিতীয় সেশন থেকে। দিনের আলো শেষ, ফ্লাড লাইটের আলো জ্বলে উঠছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশ নতুন বল হাতে পেল। 

গোধুলিতে গোলাপি বল কতটা মুভ করতে পারে সেটা দেখা গেল ইডেন টেস্টের দ্বিতীয় দিন। কোহলির আউট হতেই পরপর উইকেট হারেত থাকল ভারত। ড্রেসিংরুমে দাঁড়িয়ে বলের মুভমেন্ট দেখে বিরাট ৩৪৭ রানে ইনিংস ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। ভারত তখন এগিয়ে ২৪১ রানে। কোহলির পরিকল্পনা যে ভুল ছিল না সেটা প্রথম ওভার থেকেই বুঝিয়ে দিলেন ইশান্ত শর্মা। পিঙ্ক বলের সুইং ও ইশান্তের আগুনে পেস বোলিংয়ে ধারাসী বাংলাদেশ। কোন রান করার আগেই প্রথম উইকেট পরল তাদের। ১৩ রান বোর্ডে তুলতে না তুলতেই ৪ বাংলাদেশ ব্যাটসম্যান প্যাভেলিয়ানে ফিরলেন। তখন সবাই ধরেই নিয়েছেন দ্বিতীয় দিনেই শেষ প্রথম পিঙ্ক বল টেস্ট। কিন্তু সেই ধাক্কা সামলে টাইগারদের ইনিংস ধরার চেষ্টা করলেন মুসফিকুর ও মহমদুল্লা। দুজনের পার্টনারশিপ ভালই এগোচ্ছিল, কিন্তু মহমদুল্লা হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন। পাশাপাশি এদিনও একের পর এক বাউন্সারে ধাক্কা খেল বাংলাদেশ ব্যাটিং।

এরপর মেহদি কিছুটা চেষ্টা করলেন। কিন্তু তিনিও ইশান্তের ধাক্কা সামলাতে পারলেন না। এরপরল মুসফিকের সঙ্গে বাংলাদেশ ইনিংস টানার দায়িত্ব ছিল তাইজুলের। কিন্তু উমেশের বলে তিনিও ফিরলেন ১১ রানে। তাইজুলের উইকেট পরতেই দিনের খেলা শেষ করলেন আম্পায়াররা। দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলাদেশের রান  ১৫২/৬। এখনও  ৮৯  রানে পিছিয়ে আছে টাইগাররা। ইশান্ত নিলেন চার উইকেট। দুটি উইকেট উমেশের। তৃতীয় দিন কতক্ষণ তারা উইকেটে টিকতে পারেন সেটাই দেখার। ইনিংসে হার বাঁচানোই এখন একমাত্র লক্ষ্য বাংলাদেশের। একই সঙ্গে দেখার মহমদুল্লা তৃতীয় দিন মাঠে নামতে পারেন কি না। তিনি নামতে না পারলে আর তিনটি উইকেট চাই ইশান্তদের।