সংক্ষিপ্ত


দুর্দান্ত প্রত্য়াবর্তন ঘটালো কলকাতা নাইট রাইডার্স বোলাররা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ব্যাটারদের ১৫৫/৬ রানেই আটকে রাখল কেকেআর।
 

দুর্দান্ত প্রত্য়াবর্তন নাইটদের। এদিন টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেকেআর অধিনায়ক ইয়ন মর্গান (Eoin Morgan)। বলেছিলেন আরসিবি বধের ফর্মুলাতেই মুম্বইকে হারাবেন। প্রথম তিন ওভারে তিনি তাঁর দলের তিন স্পিনার - নিতিশ রানা, বরুণ চক্রবর্তী এবং সুনিল নারাইনকে ব্যবহার করেন। তা তো কাজে দেয়ইনি, উল্টে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ বল করতে এসে বেধড়ক মার খান। পাওয়ার প্লে'তে মুম্বই তুলেছিল বিনা উইকেটে ৫৬। তবে দশম ওভার থেকে খেলা ঘুরিয়ে দেন কেকেআর বোলাররা। যার ফলে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারের শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানেই আটকে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। মুম্বইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ রান করলেন ওপেনার কুইন্টন ডিকক (৪২ বলে ৫৫ রান)। কেকেআর-এর পক্ষে ২ উইকেট নিলেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ (৪৩-২) এবং লকি ফার্গুসন (২৭-২)।

এদিন শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন রোহিত শর্মা ও কুইন্টন ডিকক। একেবারে শুরুতে রোহিতই বেশি হাত খুললেও, পরের দিকে এগিয়ে যান ডিকক। কেকেআর-এর তিন স্পিনার তো বটেই, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, লকি ফার্গুসন এমনকী আন্দ্রে রাসেলও তাঁদের থামাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তবে খেলা ঘুরতে শুরু করে দশম ওভারে। সুনিল নারাইনের বলে শুবমান গিলের হাতে লং অনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান রোহিত শর্মা (৩০ বলে ৩৩)। এদিন অবশ্য ১৮ রান করতেই তিনি কেকেআর-এর বিরুদ্ধে ১০০০ রান সম্পূর্ণ করেন। এই প্রথম কোনও ব্যাটসম্যান আইপিএল-এ কোনও নির্দিষ্ট দলের বিরুদ্ধে ১০০০ রান করলেন।  

তবে রোহিত শর্মা আউট হওয়ার পর থেকেই নিয়মিত ফারাকে উইকেট পড়েছে। আর রান তোলার গতিও থমকে যায়। ১০ ওভারের শেষে মুম্বইয়ের রান ছিল ১ উইকেট হারিয়ে ৮০। সেখান থেকে পরের ৭ ওভারে রান আসে মাত্র ৪১, উইকেট পরে আরও ৩টি। প্রথম স্পেলে মার খাওযার পর, ১৩তম ওভারে দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে প্রথম বলেই সূর্যকুমার যাদবকে (১০ বলে ৫) তুলে নেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। ইশান কিশান (১৩ বলে ১৪) ১টি ছয় মেরে আশা জাগালেও, লকি ফার্গুসনের বলে মর্গানের হাতে ক্য়াচ আউট  হন। আর অর্ধশতরান করার পরই ডিকককেও আউট করেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। 

শেষের দিকে কায়রন পোলার্ড আর ক্রুনাল পাণ্ডিয়া কিছুটা হলেও রান তোলার গতি বাড়িয়েছিলেন। তবে পোলার্ড রান আউট হয়ে যান, করেন ১৫ বলে ২১। আর ক্রুনাল পাণ্ডিয়া (৯ বলে ১২) লকি ফার্গুসনের শিকার। শেষ বলে ৪ মেরে রানটা ১৫৫-তে পৌঁছে দেন সৌরভ তিওয়ারি।