সংক্ষিপ্ত
আইপিএল ২০২১ (IPL 2021) চলাকালীন কোভিড-১৯ (Covid-19) আক্রান্ত হওয়া নিয়ে মুখ খুললেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) রহস্য স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী (varun chakravarthy)। কেন তাঁকে মরে যেতে বলেছিলেন ফ্যানরা?
সোমবার আইপিএল ২০২১ (IPL 2021)-এর এলিমিনেটরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (Royal Challengers Bangalore) মুখোমুখি হচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)। ঠিক তার আগেই সামনে এল মাত্র কয়েক মাস আগেই ফ্যানদের কাছ থেকে জঘন্য বার্তা পেয়েছিলেন কেকেআর-এর রহস্য স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী (varun chakravarthy)। একের পর এক বার্তায় তাঁকে বলা হয়েছিল, তাঁর মরে যাওয়া উচিত ছিল। কী ঘটেছিল? আসুন জেনে নেওয়া যাক -
আইপিএল ২০২১-এর ভারতীয় পর্ব তখন চলছে। ২ মে মাসের আচমকাই বিসিসিআই-এর জৈবসুরক্ষা বলয়ের মধ্যেই কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছিলেন বরুণ চক্রবর্তী। তারপর থেকে আইপিএল-এর বায়ো বাবলে ছড়িয়ে পড়েছিল কোভিড সংক্রমণের শৃঙ্খলা। আটটি দলেরই বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার-সাপোর্ট স্টাফ কোভিড আক্রান্ত হন। আচমকা স্থগিত করে দিতে হয়েছিল আইপিএল ২০২১। ছয় মাস পর ফের সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে খেলা হচ্ছে। কেকেআর এখন প্লেঅফেও উঠেছে।
কেকেআর-এর রহস্য স্পিনার অবশেষে এই মারণরোগে অগ্নিপরীক্ষা সম্পর্কে মুখ খুলেছেন। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে কলকাতা নাইট রাইডার্স একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, তিনি কোভিড পজিটিভ সনাক্ত হওয়ায় টুর্নামেন্ট স্থগিত হয়ে যাওয়ার ফলে, কীভাবে তাঁকে ফ্যানদের থেকে দুর্ব্যবহার পেতে হয়েছে। বরুণ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বোর্ডের ডাক্তার, ডক্টর শ্রীকান্ত তাঁকে প্রথম ফোন করে তাঁর কোভিড পজিটিভ হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তাঁর বলা সব কথা তাঁর ছবির মতো মনে আছে। তিনি দাবি করেছেন এরপরই, ফ্যানরা তাঁকে ইন্সটাগ্রামে, ইমেল করে এবং টেক্সট করে বলেছিলেন, এর থেকে তাঁর মরে যাওয়া উচিত ছিল।
কেকেআর সহকারী কোচ অভিষেক নায়ার বলেছেন, এটা হাস্যকর বিষয়। তাঁর মতে বরুণ এমন একজন, যে জীবনের প্রতিটি বিষয়কেই অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নেয়। তাঁকে এভাবে দোষারোপ করাটা হাস্যকর। তিনি জানিয়েছেন বরুণের প্রতি ফ্যানদের সহানুভূতি দেখানো উচিত ছিল। তাঁরা বিষয়টিকে খুবই ভুলভাবে নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন - IPL 2021 - আইপিএল-এর 'ব্যাড বয়' ড্যানি মরিসন, মহিলার বগলে নাক দিয়ে কী করেছিলেন, দেখুন
কেকেআরের প্রাক্তন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকও, সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং কোনও ব্যক্তির মনের উপর কতটা খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে, সেই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। তাঁর মতে কখনও কখনও সোশ্যাল মিডিয়ার দয়ালু হওয়া উচিত। এটা এমন এক জায়গা, যেখানে কোনও কথার গুরুত্ব না বুঝেই মানুষ তা বলে দেয়। মিম, ভিডিও - নানাভাবে তারা নিজেদের ক্ষোভ ব্যক্ত করে। এটা তাদের জন্য একটা মুহুর্তের বিষয় হলেও, তাদের সেই সহজে বলে দেওয়া কথাটা যাকে উদ্দেশ্য করে বলা, সে কী অবস্থার মধ্য দিয়ে যাবে, তা তারা বুঝতে পারে না।
allow="accelerometer;