সংক্ষিপ্ত

আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এ দিল্লি ক্যাপিটালস ও পঞ্জাব কিংস (DC vs PBKS) ম্য়াচ। দুই দলই তাদের শেষ ম্য়াচে জয় পেয়েছে। প্রথমে ব্যাট করে ১৫৯ রান করল দিল্লি। সর্বোচ্চ ৬৩ রান করলেন মিচেল মার্শ। রান তাড়া করতে নেমে ১৪২ রানে শেষ হয় পঞ্জাবের ইনিংস। 

পঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে আইপিএলের প্লে অফের দিকে আরও একধাপ এগোল দিল্লি ক্যাপিটালস। মায়াঙ্ক আগরওয়ালের দলকে ১৭ রানে হারল ঋষভ পন্থদের দল। ম্য়াচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করল দিল্লি ক্যাপিটালস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন মিচল মার্শ। এছাড়া ৩২ রান করেন সরফরাজ খান, ২৪ রান করেন ললিত যাদব, ১৭ রান করেন অক্ষর প্যাটেল। পঞ্জাব কিংসের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন লিয়াম লিভিং স্টোন ও অর্শদীপ সিং। রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান করে পঞ্জাব কিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন জিতেশ শর্মা, ২৮ রান করে জনি বেয়ারস্টো, ২৫ রান করে রাহুল চাহার।

 

 

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে এদিন শুরুটাই ভালো হয়নি দিল্লি ক্যাপিটালসের। প্রথম ওভারের প্রথম বলেই খাতা না খুলে লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার। এরপর ইনিংসের রাশ ধরে নেন সরফরাজ খান ও মিচেল মার্শ। ঝড়ের গতিতে অর্ধশতরাবের পার্টনারশিপও পূরণ করে এই জুটি। দলের ৫১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩২  রান করে অর্শদীপ সিংয়ের বলে আউট হন সরফরাজ খান। এরপর মিচেল মার্শের সঙ্গে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান ললিত যাদব। ৪৭ রান যোগ করেন তারা। ৯৮ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে। ২৪ রান করে অর্শদীপ সিংয়ের বলে আউট হন ললিত যাদব। এরপর  একদিক থেকে মিচেল মার্শ থাকলেও অপরদিক থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দিল্লি।  যার ফলে কমে যায় রানের গতি। মিচেল মার্শ নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন। ১০৭ রানে পড়ে চতুর্থ উইকেট। ৭ রান করে লিভিংস্টোনের বলে আউট হন ঋষভ পন্থ। এরপর ক্রিজে এসে মাত্র ২ রান করে লিভিংস্টোনের তৃতীয় শিকার হন রভম্যান পাওয়েল। এরপর অক্ষর প্যাটেল ও মিচেল মার্শ মিলে যোগ করেন ৩৭ রান। ১৪৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে দিল্লির। ৬৩ রান করে কাগিসো রাবাডার বলে আউট হন মিচেল মার্শ। এরপর ১৫৪ রানে পড়ে  সপ্তম উইকেট। ৩ রান করে অর্শদীপের বলে আউট হন শার্দুল ঠাকুর। শেষ পর্যন্ত ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন অক্ষর প্য়াটেল ও ২ রান করে অপরাজিত থাকেন কুলদীপ যাদব। ১৫৯ রানে থামে দিল্লির ইনিংস। 

 

 

রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা কিছুটা ভালো হলেও তারপর থেকে কার্যত ব্যাটিং ধস নামে পঞ্জাব কিংসের। ওপেনিং জুটিতে ৩৮ রানের পার্টনারশিপ করেন জনি বেয়ারস্টো ও শিখর ধওয়ান। প্রথম উইকেট পড়ে জনি বেয়ারস্টোর। ২৮ রান করে আনরিখ নকিয়ার বলে আউট হন তিনি। এরপর ৫৩ রানে পড়ে দ্বিতীয় উইকেট। ৪ রান করে শার্দুল ঠাকুরের বলে আউট হন ভানুকা রাজাপক্ষ। একরানের মধ্যেই আউট হন শিখর ধওয়ান। ১৯ রান করে শার্দুল ঠাকুরের বলে আউট হন তিনি। ৫৫ রানে পড়ে চতুর্থ উইকেট। খাতা না খুলেই আউট হন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ব্য়াট হাতে রান পাননি লিভিংস্টোনও। ৬১ রানে পড়ে পঞ্চম উইকেট। ৩ রান করে কুলদীপ যাদবের বলে আউট হন লিভিংস্টোন। ৬৭ রানে পড়ে ষষ্ঠ উইকেট। ১ রান করে কুলদীপ যাদবের বলে আউট হন হরপ্রীত ব্রার। ৮২ রানে পড়ে সপ্তম উইকেট। ৪ রান করে অক্ষর প্য়াটেলের আউট হন ঋষি ধওয়ান। এরপর জিতেশ শর্মা ও রাহুল চাহার মিলে এগিয়ে নিয়ে যান স্কোরবোর্ড। ৪১ রানের পার্টনারশিপ করেন তারা। শেষে ১২৩ রানে পড়ে অষ্টম উইকেট। ৪৪ রান করে শার্দুল ঠাকুরের বলে আউট হন জিতেশ শর্মা। ১৩১ রানে পড়ে নবম উইকেট। ৬ রান করে শার্দুল ঠাকুরের চতুর্থ শিকার হন কাগিসো রাবাডা। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান করে পঞ্জাব। ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন রাহুল চাহার, ২ রান করে অপরাজিত থাকেন অর্শদীপ সিং। ১৭ রানে ম্যাচ জেতে দিল্লি ক্যাপিটালস। এই ম্য়াচ জয়ের ফলে লিগ টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠে এল দিল্লি।