আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এর প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছেন দুই নতুন দল গুজরাট টাইটানস বনাম লখনউ সুপার জায়ান্টস (Gujarat Titans vs Lucknow Super giants)। ম্য়াচে প্রথমে ব্যাট করে ১৫৮ রান করল কেএল রাহুলের দল। হার্দিক পাণ্ডিয়ার দলের টার্গেট ১৫৯ রান। 

প্রথমে মহম্মদ শামির আগুনে বোলিংয়ে একের পর এক ধাক্কা। শামির বোলিংয়ে কুপকাত কেএল রাহুল , কুইন্টন ডিকক ও মনীশ পান্ডে। তারপর সেখান থেকে ঘুড়ে দাঁড়িয়ে দীপক হুডা ও আয়ূশ বাদনির অনবদ্য ব্য়াটিং। আইপিএল ২০২২-এর চতুর্থ ম্য়াচে গুজরাট টাইটানস ও লখনউ সুপার জায়ান্টসের ম্য়াচে টানটান ব্যাটে-বলের লড়াই দেখল ক্রিকেট প্রেমিরা। ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান করল লখনউ সুপার জায়ান্টস। লখনউয়ের হয়ে জোড়া অর্ধশতরান করলেন দীপক হুডা (৫৫) ও আয়ূশ বাদনি (৫৪)। এছাড়াও শেষের দিকে ২১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ক্রুনাল পাণ্ডিয়া। গুজরাট টাইটানসের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মহম্মদ শামি। ২উইকেট নেন বরুণ অ্যারন ও একটি উইকেট পান রাশিদ খান। 

Scroll to load tweet…

এদিন ম্য়াচে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন গুজরাট টাইটানস অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। নতুন দলের অধিনায়ক হিসেবে শুরুটা একেবারেই ভালো হল না লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক কেএল রাহুলের। প্রথমে টস হার ও তারপর মহম্মদ শামির দুরন্ত প্রথম ডেলিভারতেই খাতা না খুলেই প্যাভেলিয়নে ফেরত যেতে হয় তাকে। এরপর কুইন্টন ডিকককে ৭ রানে ও মনীশ পাণ্ডেকে ৬ রানে আউট করেন মহম্মদ শামি। অপরদিকে ইভিন লুইসকে ১০ রানে আউট করেন বরুণ অ্যারন। ২৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্য়াপক চাপে পড়ে যায় লখনউ সুপার জায়ান্টস দল। মহম্মদ শামির আগুনে প্রথম স্পেল রীতিমত শিরদাঁড়া ভেঙে দিয়েছিল কেএল রাহুলের দলের। পাওয়ার প্লেরও তেমন সুবিধা নিতে পারেনি লখনউ।

Scroll to load tweet…

Scroll to load tweet…

এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন দীপক হুডা ও আয়ূশ বাদনি। প্রথমে একটু ধীর গতিতে ইনিংসের শুরু করেন দুজনে। সেট হওয়ার পর একের পর এক আক্রমণাত্মক শট খেলা শুরু করেন। দুই তরুণ তারকা বেশ কিছু অনবদ্য শট খেলেন। নিজেদের মধ্যে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ হওয়ার পর রানের গতবিগে আর বাড়িয়ে দেন। প্রথমে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন দীপক হুডা। তারপর ৪১ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। ১১৬ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ে লখনউয়ের। দীপক হুডা ও আয়ূশ বাদনি মিলে ৮৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে লড়াই করার মত জায়গায় পৌছে দেয়। এরপর শেষের দিকে ঝোড়ো ব্যাটিং করেন বাদনি ক্রুণাল পান্ডিয়া। নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন বাদনি। তারপর ৪১ বলে ৫৪ রানের ইনংস খেলে আউট হন তিনি। শেষ ওভারে বাদনি আউট হওয়ার পর আর বড় হিট আসেনি। ১৩ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্রুণাল পান্ডিয়া। জয়ের জন্য কেএল রাহুলের দলের টার্গেট ১৫৯ রান।