সংক্ষিপ্ত
সিএসকে-কে হারিয়ে আইপিএল অভিযান শুরু করেছে কেকেআর। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ হারতে হয়েছে আরসিবিকে। বুধবার আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এ মুখোমুথি কেকেআর বনাম আরসিবি (KKR vs RCB) । জয় পেতে মরিয়া শ্রেয়স আইয়র ও ফাফ ডুপ্লেসির দল।
আইপিএল ২০২২-এর ১০ দলের একটি করে ম্য়াচ খেলা হয়ে গিয়েছে। বুধবার দ্বিতীয় ম্য়াচে মাঠে নামতে চলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রতিপক্ষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। প্রথম ম্য়াচে সিএসকের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে আইপিএল অভিযান শুরু করছে শ্রেয়স আইয়রের দল। প্রথম ম্য়াচে জয় পেয়ে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর রয়েছে কেকেআর শিবির। অপরদিকে নতুন অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসির অধীনে মরসুমের প্রথম ম্য়াচে জয়ের স্বাদ পায়নি আরসিবি। ২০৫ রান করেও পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল বিরাট কোহলি, ফাফ ডুপ্লেসিদের। ফলে বুধবার একদিকে মুম্বইয়ের ডি ওয়াই প্য়াটেল স্টেডিয়ামে একদিকে জয়ের ধারা ধরে রাখতে মরিয়া নাইটরা। অপরদিকে মরসুমের প্রথম জয় তুলে নেওয়ার লক্ষ্য়ে ঝাঁপাবে রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্সরা।
কেকেআরের লক্ষ্য দ্বিতীয় জয়-
প্রথম ম্য়াচে কেকেআরের বিরুদ্ধে ব্য়াটে-বলে অনবদ্য পারফর্ম করেছিল কলকাচা নাইট রাইডার্স। তবে কয়েকটি বিষয় নিয়ে এখনও কাজ করতে হবে কেকেআর শিবিরকে। প্রথম ডেথ ওভার বোলিং। কারণ সিএসকের বিরুদ্ধে নতুন বলে মাভি ভালো বল করলেও, শেষের দিকে অনেক রান খরচ করেছে। মাভির জায়গায় দ্বিতীয় ম্য়াচে টিম সাউদি খেললে শক্তি অনেকটা বাড়বে। এছাড়া বল হাতে একটি উইকেট পেলেও সবথেকে বেশি রান দিয়েছিলেন তিনি। ফলে স্লগ ওভারের কেকেআর বোলিংকে শোধরাতে হবে। আরসিবির ব্য়াটিং সিএসকের থেকে শক্তিশালী। সেই বিষয়টিও নজরে রাখতে হবে বোলার ও অধিনায়ককে। ব্য়াটিং লাইনআপে টপ অর্ডার সকলেই কম -বেশি রান করায় আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে রয়েছে। তবে ২০-২৫ রানের ইনিংস না খেলে বড় ইনিংস খেলতে হবে ভেঙ্কটেশ আইয়র, নীতিশ রানা, স্যাম বিলিংসদের। তবে প্রথম ম্য়াচে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্য়াচেও জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী নাইট ব্রিগেড।
ঘুড়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে আরসিবি-
নতুন অধিনায়কের অধীনে নতুনভাবে শুরু করবে আরসিবি ভেবেছিলেন সমর্থকরা। প্রথমে ব্য়াট করে ডুপ্লেসি, বিরাট, কার্তিক, রাওয়াতদের ব্য়াট হাতে বিধ্বংসী ফর্ম ভরসা জুগিয়েছিল। কিন্তু সেই পুরোনো রোগ বোলিং লাইনআপের খারাপ পারফরম্য়ান্সের কারণে বড় স্কোর করেও ম্য়াচ হারতে হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরকে। কেকেআরের বিরুদ্ধে নামার আগে ব্য়াটসম্য়ানদের ফর্ম আরসিবি টিম ম্য়ানেজমেন্টকে স্বস্তি দিলেও, বোলিং লাইনের ফর্ম চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনুশীলন যাবতীয় ভুল ত্রুটি শুধরে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। ব্য়াটসম্য়ানরা ফের একবার বড় স্কোর করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। বোলররাও শেষ ম্য়াচ ভুলে ঘুড়ে দাঁড়াতে মরিয়া।
পিচ রিপোর্ট-
মুম্বইয়ের ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে মাঠের পিচ ব্য়াটিংয়ের জন্য আদর্শ হলেও এই পিচ থেকে পেস বোলাররা কিছুটা সুবিধা পেতে পারে। কারণ এই উইকেটে অতিরিক্ত বাউন্স লক্ষ্য করা যায়। প্রথমে ব্য়াট করে এই মাঠে ১৬০ থেকে ১৭০ রান গড়ে হয়ে থাকে। যা লড়াই করার জন্য যথেষ্ট। তবে পিচের খুব পরিবর্তন হয় না দ্বিতীয় ইনিংসে। ফলে রান তাড়া করতেও খুব সমস্য়া হয় না। ডিউ সমস্য়ার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে দুই অধিনায়ককে।
ম্য়াচ প্রেডিকশন-
কেকেআর ও আরসিবির ব্যাটিং লাইনআপ সমান শক্তিশালী। দুই দলেই একাধিক ম্যাচ উইনার রয়েছে। তবে বোলিং বিভাগের শক্তির বিচার করলে ফাফ ডুপ্লেসির দলের থেকে এগিয়ে রাখতেই হবে শ্রেয়স আইয়রের দলকে। পাশাপাশি প্রথম ম্যাচ জয়ের একটা আত্মবিশ্বাস রয়েছে। ফলে সবদিক বিচার করে কেকেআরকে কিছুটা এগিয়ে রাখছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।