সংক্ষিপ্ত

আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এর মেগা ম্য়াচে রবিবার মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস ও লখনউ সুপার জায়ান্টস (RR vs GT)। ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে ১৭৮ রান করে করে রাজস্থান। জবাবে ১৫৪ রানে থামে লখনউয়ের ইনিংস। 
 

আইপিএল ২০২২-এ শেষ চারে ওঠার গুরুত্বপূর্ণ ম্য়াচে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারাল রাজস্থান রয়্যালস। কেএল রাহুলের দলকে রানে হারাল সঞ্জু স্যামসনের দল। ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান করে রাজস্থান রয়্যালস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন যশশ্বী জয়সওয়াল। ৩৯ রান করেন করেন দেবদূত পাড়িকল, ৩২ রান করেন সঞ্জু স্যামসন। লখনউয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন রবি বিষ্ণোই। রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে  ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রানে থামে লখনউ সুপার জায়ান্টসের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন দীপক হুডা। এছাড়া ২৭ রান করেন মার্কাস স্টয়নিস ও ২৫ রান করেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া।  রাজস্থানের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ও ওবেড ম্য়াককয়। 

টস জিতে রাজস্থান রয়্যালসের শুরুটা এদিন ভালো হয়নি। ১১ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। ২ রান করে আবেশ খানের বলে আউট হন জস বাটলার। এরপর দলের ইনিংসের রাশ ধরেন যশশ্বী জয়স ওয়াল ও সঞ্জু স্যামসন। দুজন মিলে বেশ কিছু অনবদ্য শট খেলেন। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন দুজন। ৭৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে রাজস্থানের। ৩২ রান করে জেসন হোল্ডারের বলে আউট হন সঞ্জু স্যামসন। এরপর জয়সওয়াল ও দেবদূত পাড়িকল মিলে ২৬ রানের পার্টনারশিপ করেন। ১০১ রানের মাথায় ৪১ রান করে আয়ূশ বাদোনির বলে আউট হন যশশ্বী জয়সওয়াল। দেবদূত পাড়িকল সেট হয়ে গিয়েও নিজের উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেন। ১২২ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৩৯ রান করে রবি বিষ্ণোইয়ের বলে আউট হন পাড়িকল। এরপর রিয়ান পরাগও ১৯ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। রবি বিষ্ণোইয়ের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। ১৪৯ রানে পরে পঞ্চম উইকেট। এরপর ১৫২ রানের মাথায় ১৪লরান করে রান আউট হন জিমি নিশাম।  শেষের দিকে ১০ রান ও ১৭ রানের অপরাজিত আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন রবিচন্দ্র্ন অশ্বিন ও ট্রেন্ট বোল্ট। ৬ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৭৮ রান করে রাজস্থান।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি লখনউ সুপার জায়ান্টসের। ১৫ রানে পরপর দুটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় লখনউ। দুটি উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। ৭ রান করে আউট হন কুইন্ট ডিকক ও খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরত যান আয়ূশ বাদোনি। কেএল রাহুলও বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হন। ২৯ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট। ১০ রান করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে আউট হন লখনউ অধিনাক। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন দীপক হুডা ও ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। বিশেষ করে হুডা বেশ কিছু আক্রমণাত্মক শট খেলেন। দুজ মিলে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন। ৯৪ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৫ রান করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে আউট হন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। অপরদিকে নিজের ইনিংস চালিয়ে হুডা। পূরণ করেন অর্ধশতরান। ১১৬ রানে পড়ে পঞ্চম উইকেট। ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি জেসন হোল্ডার ও দুষ্মান্তা চামিরা। ১ রান করে ও খাতা না খুলেই ওবেড ম্য়াককয়ের শিকার হন ২ জন। শেষের দিকে মার্কাস স্টয়নিস কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করলেও দলের মুখে হাসি ফোটাতে পারেননি। মহসিন খানের সঙ্গে তিনি ৩১ রানের পার্টনারশিপ করেন। ১৫১ রানের মাথায় ২৭ রান করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে আউট হন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৫৪ রানে ৮ উইকেটে থামে লখনউয়ের ইনিংস। ৯ রানে ও ১ রানে ক্রিজে ছিলেন মহসিন খান এবং আবেশ খান। ২৪ রানে ম্য়াচ জেতে রাজস্থান। এই জয়ের ফলে লখনউকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল রাজস্থান।