সংক্ষিপ্ত
- ১৫ অগাস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন এমএস ধোনি
- এরই মধ্যে রাজীব গান্ধী খেল রত্ন পেয়েছেন রোহিত শর্মা
- মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে দুই প্লেয়ারের সমর্থকরা পোস্টার লাগায়
- সেই পোস্টার ছেড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ
রাজনৈতিক দলে গোষ্ঠী সংঘর্ষ নতুন ঘটনা নয়। বিশেষ করে একই দলের দুই নেতার সমর্থক বা গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষও প্রায়শই শোনা যায়। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট দলের দুই তারকাকে নিয়ে বিবাদের জেরে দুই গোষ্ঠীর তুমুল সংঘর্ষ, সেই ঘটনা সত্যিই বিরল। কিন্তু এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের কুরুন্দাদ এলাকা। সেখানে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও ররোহিত শর্মার সমর্থকদের মধ্যে ব্য়াপক সংঘর্ষ হয়। ঘটনায় আহত বেশ কয়েক জন। একজনকে আখের খেতে নিয়ে ব্যাপক পেটানো হয়। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামতে হয় খোদ বীরেন্দ্র সেওয়াগকে।
গত ১৫ অগাস্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ধোনির আকস্মিক অবসরে হতবাক হয়েছে গোটা দেশ। কিন্তু ধোনির সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককেও বিভিন্নভাবে সংবর্ধনা দিচ্ছেন তার কোটি কোটি ভক্ত সমর্থকরা। মহারাষ্ট্রের কোলাপুরেও ধোনির অবসরের পর তার ভক্তরা এলাকায় চারিদিকে ভারতীয় অধিনায়কের ছবি ও পোস্টার লাগিয়ে দেন। এরই মধ্যে রোহিত শর্মা রাজীব গান্ধী খেলরত্ন সম্মনে ভূষিত হয়েছেন। ওই এলাকায় রোহিতের পোস্টার লাগান তাঁর ভক্তরা। আর তার পর থেকেই ধোনি ও রোহিতের ভক্তদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। অভিযোগ, এলাকায় বেশ কিছু এলাকায় রোহিত শর্মার পোস্টার ছিঁড়ে দেয় ধোনি ভক্তরা। এর পরই দুটি গ্রুপের ছেলেরা এক জায়গায় আলোচনার জন্য জড়ো হয়। ধোনি ভক্তদের পালটা অভিযোগ আলোচনার সময় এক রোহিত ভক্ত অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে তাদের। এরপরই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। তবে কারা রোহিত শর্মার পোস্টার ছিঁড়েছে তা নিয়ে এখনও পরিষ্কার কিছু জানা যায়নি। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় যেতে হয় পুলিসকেও।
এই ঘটনার চাউর হতেই পরিস্থিতি সামাল দিতে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ময়দানে নামেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ। নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে বীরেন্দ্র সেওয়াগ লেখেন,'তোমাদের মতো পাগলরা কী যে করে! ক্রিকেটাররা হয় নিজেদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখে, না হলে পরস্পরের সঙ্গে কথা বলে না। কিন্তু কিছু ক্রিকেটভক্ত তো দেখছি আলাদা লেভেল-এর পাগল। আরে বাবা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করো না। টিম ইন্ডিয়াকে একটা দল মনে করো তোমরা।' ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াও। ভারতীয় ক্রিকেট দল ও তারকারা দেশের জন্য ও দেশবাসীকে আনন্দ দেওয়ার জন্য ক্রিকেট খেলে। কিন্তু একই দলের দুই তারকার সমর্থকদের মধ্যে অমন সংঘর্ষ কাম্য নয়। টিম ইন্ডিয়ার সমর্থকদের মধ্যে একতা থাকা দরকার বলে জানিয়েছেন সকলে।