সংক্ষিপ্ত

  • ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করতে চেয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন
  • রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছিল এমসিএ আধিকারিকরা
  • কিন্তু ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করতে দিতে নারাজ স্থানীয়রা
  • এবার কোন পথে সমস্যার সমাধান হলে তা বের করতে তৎপর স্থানীয় প্রশাসন
     

মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য  মহারাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থাকে চিঠি দিয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের জন্য ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। এমসিএ-কে চিঠি দিয়ে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নির্দেশ দেয়,'ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরিণত করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই অনুরোধ করা হচ্ছে, ওয়াংখেড়ের ক্যাম্পাসে যে সমস্ত হোটেল, লজ, ক্লাব, এগজ়িবিশন সেন্টার, ক্লাব, ডর্মিটরি ইত্যাদি রয়েছে, তা তুলে দেওয়া হোক রাজ্য সরকারের হাতে।' যদিও বিনা মূল্যে চাওয়া হয়নি ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম। নিয়ম অনুযায়ী ভাড়া দিয়েই সাধারণ মানুষের চিকিৎসার জন্য চাওয়া হয়েছে স্টেডিয়াম। দ্রুত স্টেডিয়াম হস্তান্তরের নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু এমসিএ যদি নির্দেশ অমান্য করে সেক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থার কথাও বলে বৃহন্মমুম্বই পুরনিগম। রাজ্যসরকারের সঙ্গে সর্বোতভাবে সাহায্যের আশ্বাস দেয় এমসিএ। কিন্তু ওয়াংখেড়েকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানাতে দিতে নারাজ মুম্বইবাসী। 

আরও পড়ুনঃলকডাউনের মধ্যেই কি দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে আইপিএল

আরও পড়ুনঃএবার ফিরছে ক্রিকেট,৬ জুন থেকে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হচ্ছে ঘরোয়া প্রতিযোগিতা

বিশ্বজয়ের স্টেডিয়ামকে কোয়ারেন্টাই সেন্টার বানাতে আপত্তি জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  বিএমসির প্রস্তাব ভালভাবে নিচ্ছেন না স্থানীয়রা। দক্ষিণ মুম্বইয়ের বাসিন্দারা চান না ওয়াংখেড়েতে সাধারণ মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা হোক। তবে শুধুই সাধারণরা নন, প্রতিবাদে শামিল বিজেপি নেতাও। বিজেপি নেতা রাজ পুরোহিত প্রতিবাদ জানিয়ে ইতিমধ্যে চিঠিও পাঠিয়েছেন। তারপরই সুর আরও চড়ান স্থানীয়রা। আইনজীবী সুজয় কাঁটাওয়ালা বলেন, “পুরো জায়গাটাই খোলা। তাই চিকিৎসার জন্য হয়তো আদর্শ নয়।”উল্লেখ্য, এর আগে শিব সেনা নেতা সঞ্জয় রাউত জানিয়েছিলেন, কোভিড মোকাবিলায় সবাইকে একজোট হয়ে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, প্রয়োজনে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামও ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু তাঁর দলের আরেক নেতা আদিত্য ঠাকরেই এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, বৃষ্টিতে মাঠ ভিজে যাবে। কাদা হবে। তাই ওয়াংখেড়েকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানানোর মানে হয় না। অর্থাৎ ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম ভোল বদলাবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেক বড় মাপের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার আবশ্যক। এর আগে সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ও ইডেন গার্ডেন্সকে প্রয়োজনে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। এবার মুন্বইবাসীকে কীভাবে বোঝায় স্থানীয় প্রশাসন সেদিকেই নজর সকলের।

আরও পড়ুনঃএবার প্রভু দেবার জনপ্রিয় মুকাবিলা গানে কোমড় দোলালেন সস্ত্রীক ওয়ার্নার